পিছিয়ে যেতে পারে ঢাকাবাসীর বহুল আকাঙ্খিত মেট্রোরেলের বাস্তবায়নের সময়। প্রকল্পের প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে তাদের চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে।
মেট্রোরেলের প্রকল্পটির সামগ্রিকভাবে অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচ দশমিক নয় কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো লাইন ও স্টেশন নির্মাণের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যাংকক ভিত্তিক নির্মাণ সংস্থা ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডকে। তাদের চুক্তির মেয়াদ ৩১ আগস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতালিয়ান-থাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত সময়ের দাবি করলেও বাড়তি কোনো ব্যয় প্রস্তাব করেনি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক গত শনিবার বলেন, আগামী মাসে বলতে পারব সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা। প্রতিষ্ঠানটি মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে সময়সীমা এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
মার্চ মাসে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর প্রকল্পটিতে পাঁচ মাসে অগ্রগতি হয়েছে মাত্র পাঁচ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। রাজধানী উত্তরার তৃতীয় পর্যায় থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি উড়াল রেললাইন তৈরির জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। শেষ হলে, প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে মেট্রোরেল।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস