ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘চারবার বিক্রি’ হওয়া বাংলাদেশি কিশোরী গুজরাট থেকে উদ্ধার

সম্প্রতি ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরত এলাকার একটি স্পা সেন্টার থেকে ১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরীকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ।

গত শনিবার সুরত পুলিশের মানব-পাচার বিরোধী সেল অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীর সাথে পাঞ্জাবের ১৯ বছর বয়সী আরেক তরুণীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্পা সেন্টারের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ওই বাংলাদেশি কিশোরীর বাড়ি খুলনা জেলায়। দুই বছর আগে তাকে ভারতে পাচার করা হয়। এই সময়ের ভেতর চারবার বিক্রি হতে হয়েছে তাকে। স্পা সেন্টারের দুই মালিকের নাম বিজয় পাঘরা এবং মনসুখ কাঠিরিয়া। তাদের সাথে ধরা পড়েছেন ম্যানেজার বিশাল ভানভেদে।

খুলনার ভুক্তভোগী ওই কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, তার গ্রামেরই এক লোক তাকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে তাকে বেঙ্গালুরুর মিলন নামের একজনের কাছে বিক্রি করে। সেখানে কয়েক দিন রেখে তাকে মুম্বাইয়ের নিতু নামের এক নারীর কাছে পাঠালে নিতু তাকে আবার বিক্রি করে দেন গুজরাটের সাব্বির আলম নামের আরেক ব্যক্তির কাছে। সেখান থেকে ৫০ হাজার রুপিতে তাকে কিনে নেন মনসুখ কাঠেরিয়া।

এই ব্যাপারে ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি মেয়ের বাবা দুই বছর আগে মহসিন নামের একজনকে অভিযুক্ত করে খুলনা জেলা পুলিশের কাছে মামলা করেন। মেয়েটিকে তিনদিন আগে সুরতে আনা হয়েছে। এখানে তাকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

৪২ শতাংশ বাংলাদেশি শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার: গত ১০ জুলাই সেজ পাবলিকেশন্সের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে ভারতের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানায়, দেশটির গোয়ার বিভিন্ন হোটেল, সমুদ্র সৈকত এবং ইয়োগা সেন্টারে যে শিশুরা প্রায়ই যৌন নিপীড়কদের কবলে পড়ে তার মধ্যে ৪২ শতাংশ বাংলাদেশি!

ওই গবেষণায় প্রায় ২০০ জন ভুক্তভোগী অংশ নেয়। সেখানে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশের, ২৮ শতাংশ থাইল্যান্ডের এবং ২৫.৫ শতাংশ নেপালের, ১৬ শতাংশ উজবেকিস্তানের।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন