ঢাকা | শুক্রবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে একাই কোপালেন ৫ জনকে, স্ত্রীসহ নিহত ৩

সম্প্রতি নরসিংদীর শিবপুরে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী এবং বাড়িওয়ালাসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কুমরাদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু ঠিক কারণে এমন হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা বলতে পারছেন না কেউ। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মো. বাদল মিয়াকে (৫০) আটক করেছে।

জানা গেছে, বাদল মিয়া শিবপুর উপজেলার পুটিয়ার কুমরাদী এলাকার একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা এবং তার আগের সংসারের ৪ সন্তানকে নিয়ে ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বাদলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার জাঙ্গালিয়া এলাকায়।

হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহত তিনজন হলেন বাদলের দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০), ওই বাড়ির বাড়িওয়ালা তাইজুল ইসলাম (৭০) এবং তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০)। এ ছাড়া গুরুতর আহত দুজন হলেন বাদলের ছেলে সোহাগ (১৫) ও বাড়িওয়ালা তাইজুল ইসলামের মেয়ে কুলসুম (২৬)। আহত দুজনকে বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাদল ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে কথা-কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে নাজমাকে কুপিয়ে জখম করেন বাদল। ওই সময় তার ছেলে সোহাগ এগিয়ে গিয়ে বাড়িওয়ালা তাইজুল এবং তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম সাহায্য চান।বাড়িওয়ালার মেয়ে কুলসুম কী হয়েছে জানতে ঘটনাস্থলে গেলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সোহাগ, তাইজুল, মনোয়ারা এবং কুলসুমকে ওই ছুরি দিয়েই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন বাদল। সকাল ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদলকে আটক করে এবং আহত ৫ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়। নাজমা ও মনোয়ারাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে তাইজুল, সোহাগ ও কুলসুমকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাইজুলের মৃত্যু হয়।

এই ব্যাপারে শিবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মীর শিবলী কায়েস জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদল নামের একজনকে আটক করি এবং আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমা এবং মনোয়ারাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের লাশে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালেরই মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাইজুলের লাশও আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বাদল নিজেও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন