ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে দ্রুত সময়ের মধ্যে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি জানান, গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-বরিশালের নৌ পথের কোথায় কি সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নৌ রুট হচ্ছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌ পথের প্রাণ। এই নৌপথের যাত্রা স্বস্তিদায়ক এবং নিরাপদ রাখতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ নৌ পথের সার্বিক অবস্থা স্বচোখে দেখতে শনিবার বিকেল ২টায় বরিশাল নদী বন্দর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই নৌপথ আরও সুগম এবং নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। অল্প সময়ের মধ্যে বরিশাল-ঢাকা নৌপথ স্বস্তিদায়ক করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ডুবো চরের কারণে বরিশাল-ঢাকা নৌপথের মিয়ারচর, কালীগঞ্জ এবং ইলিশা চ্যানেলে প্রায় সময় আটকে যাচ্ছে বড় বড় নৌযান। ডুবোচর অপসারনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন কোন স্থানে ডুবোচর আছে কোথায় নাব্যতা সংকট আছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ড্রেজিং করে এই রুটের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। তবে ড্রেজিং করলে নদী ভাংগন হয় বলে কিছু জনপ্রতিনিধি ড্রেজিংয়ের সময় বাঁধা দেয়। কিন্তু নৌপথ ঠিক রাখতে নাব্যতা ধরে রাখতে অবশ্যই ড্রেজিং করতে হবে। নৌপথে স্বাভাবিক রাখতে সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

বরিশাল নদী বন্দরের উন্নয়ন প্রসংগে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু নৌ পথ নয়, বরিশাল নদী বন্দরকে আরও সুন্দর এবং আধুনিক করার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষে নেয়া হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে কাজ হবে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় চায় বরিশালের প্রাণ এই নদী বন্দর আরও প্রাণবন্ত হবে।

বুড়িগঙ্গায় যাত্রীবাহি লঞ্চ চাপা দিয়ে ৩৪জন হত্যার ঘটনায় তদন্ত হয়েছে এবং এই ঘটনার বিচার হবে বলে আশাবাদী প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী সকাল ৮টায় নারায়নগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র টাগবোট দুরন্ততে চাঁদপুর, হিজলার মিয়ারচর ও মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া চ্যানেল পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টায় বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছেন। ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে এই সফর করেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল ৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. শাহজাহান, বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, বিএমপি’র উপ-কমিশনার মো. মোক্তার হোসেন এবং বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন