তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের রেশ না কাটতেই সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার সিটি কলোনি এলাকায় ড্রেনের ভেতরে গ্যাসের লাইন লিকেজের ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সেখানে গ্যাস পাইপ লিকেজের ব্যাপারটি নজরে আসে সিটি কলোনির বাসিন্দাদের।
পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মসজিদে আসরের নামাজের সময় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার পর থেকে ব্যাপারটি নিয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয়রা।
সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যে তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ জোনের কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই প্রতিনিয়ত ভয়াবহ দুর্ঘটনার আতঙ্কে সময় কাটছে সিটি কলোনির বাসিন্দাদের।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের টানবাজার সিটি কলোনির দক্ষিণ পাশের ৪নং গলিতে ড্রেনের ভেতরে গ্যাস পাইপে লিকেজ দেখা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে ড্রেনের পানিতে বুদবুদের সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে প্রতিনিয়ত গ্যাসের তীব্র গন্ধ বের হতে থাকে। তবে বিষয়টি প্রথমদিকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরদিন শুক্রবার তল্লা মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা।
সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ জোনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেও মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তিতাস কর্তৃপক্ষ এর কোনো সুরাহা করেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
কলোনির বাসিন্দা মামুন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার গ্যাস পাইপ লিকেজের খবর পেয়ে পরদিন আমরা সরকারি হট লাইন নম্বর (৯৯৯) এ ফোন করি। এ সময় তারা আমাদের একটি নম্বর দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তবে সেই নম্বরে সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। পরবর্তীতে আমরা তিতাস কর্তৃপক্ষের একজনের নম্বর সংগ্রহ করে সমস্যার কথা জানালে দ্রুত সেটি সমাধানের আশ্বাস দেন সেই কর্মকর্তা।
তবে অভিযোগের পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান মামুন।
তিনি আরও জানান, এ বছরের শুরুতেই একবার বিস্ফোরণ ঘটে ওই জায়গাটিতে। বিস্ফোরণে ড্রেনের একটি স্লাব উড়ে গেলেও সৌভাগ্যক্রমে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সম্প্রতি নতুন করে সেখানে আবার লিকেজ দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর থেকে গ্যাসের চাপ বাড়লে পানিতে বুদ্বুদ আর গ্যাসের শব্দ বৃদ্ধি পায়। এ সময় আশপাশে গ্যাসের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ জোনের কর্মকর্তা মো. খায়ের আহাম্মদ বলেন, আমাদের প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা গত সোমবার সেখানে (সুইপার কলোনি) পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি আমরা ডিজিএম বরাবর জানাবো এবং পদক্ষেপ নেব।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে