ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন

প্রশাসন সব ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকার পরও ঘটছে অবৈধ কাজ কারবার। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনস্যামপুর কালিতলা ঘাট কুলিক নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে । রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা ঘনশ্যামপুর কালী মন্দির এলাকায় প্রায় এক লক্ষ টাকা মূল্যের বালু উত্তোলন করে জমিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঐ এলাকার প্রভাবশালী ভাটা মালিক ও বালু ব্যবসায়ী নুর-নবী রাতের আধাঁরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এসব বালু উত্তোলন করেছেন। আবার ভোর রাতে মেশিন সরিয়ে রাখেন। স্থানীয়দের চরম অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে কুলিক নদীর বালু উত্তোলন করছেন নুরনবী।

এ সময় নদীতে মাছ ধরতে আসা হেমন্ত রায় ও দীপঙ্কর রায় অভিযোগ করে জানান, নুরনবী দীর্ঘদিন ধরে এই নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । একইসাথে নিজ ভাটার বালুর চাহিদা মিটিয়ে প্রতিগাড়ি বালু ৯০০ টাকায় বিক্রি করছেন । দেখা গেছে বালু তোলার কারণে নদীর আরেক পাশে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ঘাটটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এছাড়াও বিভিন্ন বালু ব্যবসায়ী কুলিক নদীর বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর অনেক জায়গায় গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এসব স্থানে কয়েকজন জলডুবি হয়ে মৃত্য বরণও করেছেন বলে এলাকার এক মুরুব্বী জানান।

এ দিকে বালু ব্যবসায়ী নুরনবীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এই বালুটি আমার আগের তোলা। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন তিনি প্রতিনিয়ত এই নদী থেকেই বালু উত্তোলন করেছেন ।

রানীশংকৈল উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) অমিত সাহা জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করে থাকলে সরকারি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আনন্দবাজার/শাহী/কবীর

সংবাদটি শেয়ার করুন