নীলফামারীর সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ রণজিৎ কুমার গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি ও প্রতারণার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
বৃহম্পতিবার বেলা ১১ টায় সৈয়দপুরের ডক্টরস্ হসপিটাল এন্ড কার্ডিকেয়ার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের পরিচালক ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে অবস্থিত সৈয়দপুরের ডক্টরস্ হসপিটাল এন্ড কার্ডিকেয়ার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হোসেন তাহমিদ ইমামের কার্যালয়ে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন তাহমিদ ইমাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে সৈয়দপুর শহরস্থ ডক্টরস হসপিটাল এন্ড কার্ডিকেয়ার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারটি সুনামের সঙ্গে এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে। আর এলাকার একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অভিনব কায়দায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ওই প্রতারক চক্রের সদস্য মোছাঃ মাহমুদা সুলতানা সুমিকে ব্যবহার করে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন সহজ সরল যুবককে ফাঁদে ফেলে বিয়ের নামে কাবিননামা তৈরি, পরবতীতে তালাক প্রদানের মাধ্যমে দেনমোহনার অর্থ আদায় ও বিভিন্নজনের নামে নানা অফিসের বিভিন্ন মিথ্যে অভিযোগে মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর ডক্টরস হসপিটালের বিরুদ্ধে ওই প্রতারক চক্র মাহমুদা বেগম সুমির প্রসবকালীন শিশু হত্যার বিষয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ নীলফামারী সিভিল সার্জন অফিসসহ বিভিন্ন অফিসে করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও নীলফামারী সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ রণজিৎ কুমার বর্মণের যোগসাজসে করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রটি অভিযোগের বিষয়ে ডক্টরস হসপিটালের পরিচালকের কাছে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই চাঁদার টাকার জন্য প্রতারক চক্রটি বিভিন্নভাবে হসপিটালের পরিচালকের ওপর নানাভাবে প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, প্রতারক চক্রের সদস্য নীলফামারীর সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ রণজিৎ কুমার বর্মণ চাঁদার টাকা না পেয়ে বার বার ডক্টরস হসপিটালের বিরুদ্ধে হাস্যকর অভিযোগ তুলে অবৈধ ও অনৈতিক উপায়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার অপকৌশল গ্রহন করেন। কিন্তু হসপিটালের পরিচালক তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হন। তারপরও ডাঃ রণজিৎ কুমার বর্মণ হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে তাঁর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এ অবস্থায় ডক্টরস হসপিটাল পরিচালক হোসেন তাহমিদ ইমাম প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট নীলফামারী সৈয়দপুর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে এবং ১৮ আগস্ট নীলফামারীর সৈয়দপুর আমলি আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে নীলফামারীর সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ রণজিৎ কুমার বর্মণসহ প্রতারক চক্রের বেশ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। বর্তমানে উক্ত মামলা দুইটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডক্টরস্ হসপিটাল ও কার্ডিকেয়ার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ নজিবুর রহমান বুলবুলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আনন্দবাজার/শাহী/মনন