পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামী পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
রবিবার ৩০আগস্ট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে এ জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে লিয়াকত আলীকে আদালতে নিয়ে আসেন তদন্ত সংস্থা র্যাব।প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা জবানবন্দি শেষে বিকেল ৫ টার দিকে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সিনহা হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এপিবিএনের তিন সদস্য (এএসআই) শাহজাহান ও কনস্টেবল রাজীব কনস্টেবল মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৩ আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত প্রধান আসামীসহ মোট ৪জন আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।তিনি জানান,তৃতীয় দফায় প্রধান তিন আসামীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই লিয়াকত আলী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর এপিবিএন এর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে প্রদীপসহ পুলিশের নয়জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ পৃথক তিনটি মামলা করেছে। পরে সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় আরো একটা মামলা হয়। এ মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশের ৭ জন, এপিবিএনের ৩ জন ও স্থানীয় ৩ জন বাসিন্দা (পুলিশের মামলার সাক্ষী) গ্রেফতার করেছে তদন্ত সংস্থা র্যাব।
আনন্দবাজার/শাহী/জসীম