দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে সর্ব্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন চট্টগ্রাম রাউজানের তিন নির্বিক করোনা যোদ্ধা। তারা হচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, তার জৈষ্ঠ্যপুত্র তরুন রাজনীতিক ফারাজ করিম চৌধুরী, অপরজন রাউজান পৌরসভার দ্বিতীয় প্যানেল মেয়র উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ।
এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি চালানো কালে গত জুলাইয়ের প্রথম দিকে করোনা সংক্রমিত ফারাজ করিম চৌধুরী, চলতি মাস আগস্ট এর মাঝামাঝিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী। যিনি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। করোনা যুদ্ধের অপর সৈনিক জমির উদ্দিন পারভেজ এখন ক্লান্তিহীণ ভাবে মাঠে আছেন। তবে মাঝে মধ্যে পারভেজকে সাহস জোগাতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আবার আসতে শুরু করেছেন করোনা জয়ী ফারাজ করিম চৌধুরী।
স্থানীয় লোকজন বলেছেন রাউজানের যেখানে করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন, সেখানে পারভেজ এর তত্বাবধানে থাকা স্বেচ্ছাসেবী দল নিয়ে দাফন সৎকারে ছুটে যাচ্ছেন। এই উপজেলায় গত তিন মাসে মারা যাওয়া অর্ধশতাধিক নারী পুরুষের দাফন সৎকার করেছেন আশার আলোর স্বোচ্ছাসেবীরা। বিগত রমজান মাসে ফারাজ করিম চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় করোনা যোদ্ধাদের জন্য ৩০ রজনী রান্না করা চেহারীর খাবার চট্টগ্রাম মহানগরের হাসপাতাল সমূহে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পৌছে দিয়েছেন এই যুবলীগ নেতা পারভেজ।
সামাজিক পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপন ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে বর্তমান সময়ের করোনা যোদ্ধা পারভেজ ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিন দফায় তিনটি শ্রেষ্ঠত্বের পুরুষ্কার পেয়েছেন। তিনি এখনো রাউজানের কর্মহীণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে পৌছে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষে ত্রাণ সামগ্রী। রোগাক্রান্ত মানুষকে বিনামুল্যে দিচ্ছেন ঔষধ ও পুষ্টিকর খাবার। যুবলীগের এই নেতা ফজলে করিম ফাউন্ডেশন ব্যানারে গত দুই মাসে ১৬ জন প্রতিবন্ধিকে সেমি পাকা ঘর করে দিয়েছেন, তিনজনকে খুলে দিয়েছেন তিনটি দোকান।
ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি ও সমাজ সেবায় নিয়োজিত পারভেজ নিজের কর্মকা- সম্পর্কে বলেন- প্রতিটি দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিলাম। বৈশ্বিক মহামারির এই দুর্যোগেও মানুষের পাশে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। এই কাজে আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন রাউজানের উন্নয়নের রূপকার মানবতাবাদি নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। নিজের জীবন কর্মের প্রসঙ্গে তুলে ধরে বলেন জীবন মৃত্যু আল্লাহ’র হাতে। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনীতি(এনডিপি/জামাত/বিএনপি) সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হাতে কয়েকবার আক্রান্ত হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছি।
মানবতাবাদি এই সাংসদ এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি আক্রান্ত হয়েছেন দুর্যোগে মানুষের সেবায় কাজ করতে গিয়ে। এখন রাউজানের ৬ লাখ মানুষ তার সুস্থ্যতা কামনায় প্রার্থনা করছেন মসজিদ,মন্দিরে গিয়ে। ঘরের বউ ঝি’রাও তার জন্য দুহাত তুলে দোয়া করছেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এম এ