খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। ভেঙ্গে বিলিন হচ্ছে ঘরবাড়ী রাস্তাঘাট গাছপালা ফসলি জমি। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। ১ বছরে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নিলেও তা কোন কাজে আসেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাইকগাছার রাড়ুলীস্থ কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত জেলে পল্লী। স্থানীয়দের তথ্যমতে, তিন শতাধিক পরিবারের মধ্যে শতাধিক পরিবারের বাড়ী ঘর নদের গর্ভে বিলীন হওয়ায় তারা বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছে। ভাঙ্গনে চলে গেছে কেয়ারের পাকা রাস্তা, একটি কাচা রাস্তাসহ অসংখ্যা গাছ-গাছালী ও ফসলের ক্ষেত। এদিকে, ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারন করলে গত বছর জুন মাসে ১০ লাখ টাকা ব্যয় করে ২৯০ মিটার নদের ধারে সাড়ে ৪ হাজার বালি ভর্তি জিও ব্যাগ দেয়া হয়।
জানা যায়, চলতি বছর প্রায় সাড়ে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০ মিটার এলাকায় একইভাবে কাজ করলেও ভাঙ্গন বন্ধ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষক মোঃ আব্দুল মোমিন সানা জানান, যেন তেন ভাবে কাজ করায় এক মাস যেতে না যেতেই অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে এলাকাবাসী আবেদন করেছে।
আবেদন পেয়ে ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এ কাজটি যেনতেনভাবে করার কোন সুযোগ নাই। ওয়াটার বোর্ডের টাস্কফোর্স টিম দেখেশুনে অনুমতি দেয়ার পর বস্তাগুলি ফেলা হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ