ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরে একই জমি থেকে ২ মাসে ৩ বার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

শ্রীনগরে একসনা লীজের একই জায়গায় প্রায় ২ মাসের ব্যবধানে ৩ বার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর চতুর্থ বারের মতো স্থাপনা নির্মান শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা দু’রকমের বক্তব্য দিয়েছেন।

শ্রীনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন কলেজ রোডে বেসঢালাই ও আরসিসি পিলার দিয়ে রাস্তা দখলসহ একসনা লিজের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করে শ্যামসিদ্ধি গ্রামের মোশারফ হোসেন গং। শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে একে একে ৩ বার তাদের নির্মান কাজ বন্ধ করে তা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ উচ্ছেদের এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের পাকা স্থাপনা শুরু হয়েছে।

এই ব্যাপারে শ্রীনগর ইউনিয়ন উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, লীজ গ্রহহীতারা আমার কোন কথা শুনছে না। তাদের লীজ বাতিলের জন্য সুপারিশ করে আমি উপজেলা ভূমি অফিসে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। উপজেলা ভূমি অফিস কোন ব্যবস্থা না নিলে আমার কি করার আছে? শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেয়া দেবনাথ জানান, তারা ওয়াল ও টিনের চালা দিয়ে ঘর উঠানোর অনুমুতি নিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী সহ স্থানীয়দের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কয়েক ফুট দুরত্বে লীজের জায়গায় প্রথমবার ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নির্মাণাধীন স্থাপনাটি ভেঙে দেন। রহস্যজনক কারণে আইন অমান্য করে পুনরায় তারা ভবন নির্মাণের সাহস কিভাবে পায়? এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তরিঘরি করে নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছে। শ্রীনগর বাজারের ব্যস্ততম একটি রাস্তার কিছু অংশ সহ লীজের জমিতে ইটের ওয়াল উঠানো হচ্ছে। পাশের উচ্ছেদ হওয়া আরসিসি পিলারের বেস সহ রড রয়েছে। ওয়াল টানার পর তারা যে কোন সময় খালি রডের ফ্রেমে ঢালাই করে নিলেই তা বহুতল ভবনের জন্য ˆতরি হয়ে যাবে।

শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো রহস্যজনক ভূমিকা পালন করলে এভাবে সরকারী জমিতে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভবন উঠতে থাকবে। এক জনের উদাহরণ টেনে সরকারী জমিতে ভবন উঠাতে উৎসাহ পাবে। যা শ্রীনগর বাসীর জন্য সুখকর হবে না।

আনন্দবাজার/শাহী/আমিনুল

সংবাদটি শেয়ার করুন