ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামবাসীর হয়রানির নাম মফিজ-জাহানারা

একের পর এক মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া গ্রামের মফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। মামলাবাজ ওই দম্পত্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার ও টাঙ্গাইলের র‍্যাব-১২, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার কমান্ডারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গ্রামবাসী।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজুর রহমান ও জাহানারা বেগম। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামের লোকজনদের হয়রানি করাই তাদের নেশা। এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলার মাধ্যমে অনেক লোককে হয়রানি করেছে এ দম্পতি। জেলও খাটিয়েছেন গ্রামের নিরীহ লোকদের।

এছাড়াও মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ যেন তাদের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি আসে মামলার। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী। তাই ওই মামলাবাজ দম্পতির অন্যায় অত্যাচারের প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার ও টাঙ্গাইলের র‍্যাব-১২, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার কমান্ডারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গ্রামবাসী।

নারান্দিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর, রফিকুল, লাভলীসহ আরো অনেকেই জানান, মফিজুর ও তার স্ত্রী জাহানারা অনেক খারাপ প্রকৃতির লোক। অযথা মানুষের সাথে ঝগড়া করা তাদের স্বভাব। আর প্রতিবাদ করলেই মামলার হুমকি আসে। তাদের আচরণে আমরা অতিষ্ঠ। এজন্য আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ বলেন, আমি মফিজ ও তার স্ত্রীকে নিয়ে অনেক সালিশ করেছি। কোন সালিশও মানেনা, কারো কথাও শুনেনা। তারা অনেক খারাপ প্রকৃতির লোক। মামলাই তাদের নেশা।

অভিযোগের বিষয়ে মফিজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আমি এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত নই।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, অভিযোগের কোন কপি এখনো আমার নজরে আসেনি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ কে আই

সংবাদটি শেয়ার করুন