গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে তদন্ত কাজে বাধা এবং হুমকি দেবার ঘটনা ঘটেছে।
গত,১৯ আগস্ট চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সাধারন শিক্ষার্থীরা একটি মানববন্ধন করে ৷ এসময় তদন্ত কমিটি থাকা সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ তোলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ আগস্ট (মঙ্গলবার), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত স্মারকে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম সকল প্রশ্নের উর্ধ্বে রাখতে ৬ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটিতে থাকা সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেবার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এরপর ১৯ আগস্ট নজরুল ইসলাম তাঁর অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করে তদন্ত কমিটির প্রধানকে লিখিতভাবে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ জানাতে বলেন এবং তদন্ত কমিটি বাকি সদস্যের সাথে মত বিরোধের জেড়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন যা হুমকি স্বরূপ।
হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম সবাইকে দেখে নেবার কথা বলতে দেখা গিয়েছে।
ওই একই ভিডিওতে মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার পরও আমাকে কোন কারণ না জানিয়েই তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঠিক এরপর, জাতীয় গণমাধ্যমের একটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো রাজিউর রহমানের গোপালগঞ্জ সদর থানায় করা জিডির কপিতে দেখা গেছে যে, “আমি ড. মােঃ রাজিউর রহমান, সহঃ অধ্যাপক, আইন বিভাগ ও প্রক্টর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গােপালগঞ্জ-৮১০০। উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম হীরা, সহকারি রেজিস্ট্রার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গােপালগঞ্জ কে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গত ১৮.০৮.২০২০ তারিখে তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করলে সে গত ১৯.০৮.২০২০ তারিখে তদন্ত কমিটির সভাপতি সহ সকল সদস্যকে হুমকি প্রদান করে। ১৯.০৮.২০১০ তারিখে তদন্ত কমিটির সভাপতি সহ সকল গাকে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০.০৮.২০২০ ইং তারিখ বিকাল ৫:২০ ঘটিকায় মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহােদয়ের অফিস থেকে কমিটির অন্য সদস্যদের সম্মুখে আমাকে ডেকে নিয়ে কালকে দেখে নেবাে বলে শাসায়। বিষয়টিকে আমি ও আমার পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছি।”
এ বিষয়ে জনতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর রাজিউর রহমান খোলামেলা কিছু বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ, বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ঈদুল আজহার ছুটিতে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবির মাসরুল ইসলাম পনি নামের এক শিক্ষার্থীসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়ে।
আনন্দবাজার/শাহী/আকীক