কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে শিশু খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের চৌধুরী। সদর উপজেলা পিআইও সাইদুর রহমান । শহর ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডাঃ আফিল উদ্দিন, শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুর রহমান পাভেল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শিশু খাদ্য বিতরণে বটতৈল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মমীন মন্ডল, উজানগ্রাম ইউনিয়নে সচিব, হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মন্ডল, মেম্বর ডাবলু, আব্দালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপন, ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান কেরামত আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ঠান্টু।
এছাড়াও ছিলেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবির হোসেন আমান, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন, পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন, আইলচারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান এর উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ শেষ হয়। এদিকে হাটশ হরিপুর, মনোহরদিয়া ও জিয়ারখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাদের নিজ পরিষদে শিশুদের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন।
করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়। শিশু খাদ্যের মধ্যে গুঁড়া দুধ, চিনি, সুজি, রয়েছে। দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ পরিবারগুলোকে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। এ সহযোগিতায় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী থাকলেও শিশুদের জন্য কোনো খাবার ছিল না।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, দুস্থ পরিবারগুলোর শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসাবে এবার পাঠিয়েছেন শিশু খাদ্য সহায়তা। শিশুদের এই খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে দিনব্যাপী ১৩টি ইউনিয়নে আমাদের এই কর্মসূচি। এছাড়া যে সকল শিশুর মায়েরা আসতে পারে নাই, সে সকল শিশুর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলার দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য এই খাবার, যার মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত হবে। কোন শিশু যেনো পুষ্টিহীনতায় না ভোগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবে নিন্ম আয়ের মানুষগুলো কাজ করতে না পারায় তাদের শিশু সন্তানেরা যেন পুষ্টিহীনতায় না ভোগে সে জন্যই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছেন। পুষ্টিকর এসব খাদ্য সামগ্রী শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরন করবে।
আনন্দবাজার/শাহী/রেজা