ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলায় সহকারি উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের বিরুদ্ধে প্লান ও প্রাক্কলন বিষয়ে অনভিজ্ঞতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
তিনি নিয়মবহির্ভূত ভাবে ৩ বছরের অধিক ৭ বছর ধরে এ উপজেলায় কর্মরত থেকে এসব দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামও ৭ বছর ধরে এ উপজেলায় কর্মরত আছেন।২৪ আগস্ট সোমবার স্থানীয় কয়েকজন অভিজ্ঞ ঠিকাদার ঐ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, ঠিকাদার আব্দুল করিম ঐ প্রকৌশলীর পরামর্শে দূর্লুভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে ৩ তলার পরিবর্তে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেন। এতে করে ঠিকাদারকে ১২ ইি বেজ ঢালাই এর পরিবর্তে ১৮ ইি বেজ ঢালাই করতে হয়।
একই ভাবে ঠিকাদার আবু তাহেরের সিংহোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে ঐ প্রকৌশলী একই দূর্নীতির আশ্রয় নেন। এতে করে ঐ দুই ঠিকাদার দুই লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতির শিকার হোন।
আবার নবিদেব প্রকল্পের আওতায় ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দকৃত নেকমরদ বড় পোখরা উচ্চ বিদ্যালয় , বল›চা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভরনিয়া হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে কম্পিউটার রুম নির্মাণে ২০ ফিটের পরিবর্তে ২৮ ফিট ঘর নির্মান করিয়ে নেন ঐ প্রকৌশলী।
এ সমস্ত অনিয়ম ও দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ ফান্ড থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে ঠিকাদারদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। এরপরও প্রত্যেক ঠিকাদারকে ৭৫ হাজার টাকা করে লোকশান গুনতে হয়।
প্রসঙ্গত ঐ প্রকৌশলী এ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে ও কিছু প্রভাবশালী নেতার মদদে এবং উপজেলা প্রকৌশলীর যোগসাজশে এসব দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগকারীরা জানান।
ঠিকাদারকে কাজ নিয়ে দেয়া সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করার কারনে অন্যন্য স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষ্তিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি অভিযোগের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম বলেন, ‘মানুষের তো ভুল হতেই পারে। আপনারা এসব বিষয়ে তার সাথে কথা বলেন’। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, সরকারি চাকুরি বিধি অনুযায়ি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ঐ প্রকৌশলীদের বদলি হওয়া উচিত।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রকৌশলী সাহারুল আলম মন্ডল বলেন, ‘আমি এ জেলায় নূতন এসেছি, তবে সরকারি চাকুরীর বিধান মতে (৩) তিন বছরের অধিক কারো একই ষ্টেশনে থাকার কথা নয়।
আনন্দবাজার/শাহী/কবীর