দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহনে হাতাহাতি, মারামারিসহ ভাড়া নৈরাজ্য এবং যাত্রী হয়রানি বন্ধে করোনাকালে বাসের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রবিবার (২৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি জানান, করোনা সংকটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর জন্য বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হলেও এখন দেশের কোনো গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। বর্ধিত ভাড়া নিয়ে বাস গুলোতে সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে করোনা সংকটে কর্মহীন এবং আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যাপক দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ফলে সারাদেশে প্রায় প্রতিটি রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে যাত্রী-শ্রমিক বশচা (গ্যাঞ্জাম), হাতাহাতি, মারামারি চলছে।
সরকার করোনাকালে পরিবহন সেক্টরে কোনো প্রকার ভুতর্কি না দিয়ে মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে করোনার সংকটে থাকা দেশের সাধারণ জনগণের ওপর একচেটিয়াভাবে বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়। অযৌক্তিকভাবে চাপিয়ে দিলে সাথে সাথে দেশব্যাপী চলাচলরত বাস-মিনিবাসের সাথে লেগুনা, হিউম্যান হলার, টেম্পু, অটোরিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশা, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন, টেক্সিক্যাবসহ সকল প্রকার যানবাহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এতে যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে উপেক্ষিত হয়, ভাড়া নৈরাজ্য এবং যাত্রী হয়রানিকে আরেক দফা উসকে দেওয়া হয়। সে সময়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এ ভাড়া বাড়ানোর তীব্র বিরোধিতা করা হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। সেই সাথে অবিলম্বে গণপরিবহণের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে দেশের প্রতিটি রুটে বর্ধিত ভাড়া পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে