ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঘের সন্ধানে চা বাগান ও জঙ্গল কাটা শুরু

বাঘের সন্ধান পেতে ও ধরতে চা বাগান ও জঙ্গল কাটা শুরু হয়েছে। পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরীজোত ও সাহেবীজোত এলাকার চা বাগান ও জঙ্গলে দুই বাচ্চাকে নিয়ে একটি চিতাবাঘ অবস্থান করছেন এমন ধারণা থেকেই ওই চা বাগান ও জঙ্গল কাটা শুরু হয়।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে চা বাগান ও জঙ্গল কাটার নির্দেশনা দেন।

সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ হোসেন ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা, সদর ও তেঁতুলিয়া থানার ওসি আবু আককাছ আহমেদ ও মো. জহুরুল ইসলামসহ বন বিভাগের লোকজন এসে ওই চা বাগান ও জঙ্গল কাটার নির্দেশনা দেন। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মিন্টু কামাল ১৯ জন শ্রমিক লাগিয়েছেন। চা বাগান ও জঙ্গলটি খুবই ঘন হওয়ায় কাটতে সময় লাগছে। কবে নাগাদ কাটা শেষ হবে এটা বলা কঠিন।

সাতমেরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মিন্টু কামাল জানান, বাঘের আতঙ্কে আমার এলাকার লোকজন রাতজেগে পাহারা দিয়ে আসছেন। বাঘ ধরতে অভিযানের অংশ হিসেবে এই চা বাগান ও জঙ্গল কাটা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও তার সমন্ধি (স্ত্রীর বড় ভাই) রমজান আলীর সঙ্গে ওই চা বাগান নিয়ে ৭/৮ বছর ধরে আদালতে মামলা চলমান আছে। এ কারণে চা বাগান থেকে পাতা উত্তোলন না হওয়াসহ পরিচর্যা না করায় চা বাগানটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। চা বাগানের দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে প্রশাসনের নির্দেশে এটি কাটা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ভারত থেকে আসা দুই বাচ্চাকে নিয়ে একটি চিতাবাঘ গত একমাস থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের ওই চাবাগান ও জঙ্গলে অবস্থান করছেন। বাঘগুলো এলাকাবাসিসহ ছাগল গরুকে আক্রমণ করেছেন। এলাকাবাসি বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন ও গন্ধ অনুভব করতে পারছেন। বনবিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও সেখানে বাঘের অবস্থান আছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

আনন্দবাজার/শাহী/রায়হান

সংবাদটি শেয়ার করুন