ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ি বাঁধ আতংকে এলাকাবাসী

পাইকগাছায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষত শুকানোর আগেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আতংকে দিন যাপিত করছে এলাকাবাসী। যে কোন মুহুর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পোল্ডার প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার মৎস্য সম্পদ ও ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। কোথাও কোথাও ওয়াপদার বেড়িবাঁধ উপছে লবন পানি প্রবেশ করছে পোল্ডারের ভিতরে। অপর দিকে বুধবার ভেঙ্গে যাওয়া সোলাদানার বয়ারঝাপার ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ইউএনও এবং সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে বাঁধ মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার লতা ইউনিয়নে অমাবর্ষ্যার অ-স্বাভাবিক জোয়ারের পানির চাপে ১৮/১৯ নং পোল্ডারের লতার কাঠামারীতে পাউবো’র বেঁড়িবাধ উপছে গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের জোয়ারেরর চাপে ওয়াপদার বাহির অংশে মৎস্য ঘেরে তলিয়ে বেঁড়িবাধ উপছে পোল্ডারে পানি প্রবেশ করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এতে ছোট-বড় কয়েকটি মৎস্য ঘের তলিয়ে যায়। অপরদিকে ১০/১২ নং পোল্ডারের ঝুঁকিপূর্ণ গড়ইখালীর আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকা ও কুমখালীর ক্ষুতখালীতে বিপদ জনক বেঁড়িবাধে বালির বস্তা ও মাটি ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বুধবার দুপুরে ২৩ নং পোল্ডারের সোলাদানা ইউপির বয়ারঝাপার ভাঙ্গাহাড়িয়ায় ভেঙে যাওয়া বেঁড়িবাধ সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মেরামত করে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

ইউপি সদস্য কৃষ্ণ রায় জানান, উপজেলার লতা ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ উপছে জোয়ারের পানিতে এলাকার শত-শত চিংড়ি ঘের, রাস্তা-ঘাট, ঘরবড়ী ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক বলেন সোলাদানার ভাঙ্গাহাড়িয়ার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ইউনিয়ন বাসিকে সাথে নিয়ে বিকেল থেকে অধিক রাত পর্যন্ত কাজ করে বাঁধটি আটকাতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় বাঁধ মেরামতে ঘটনা স্থলে উপস্থিত থেকে সকলকে বাঁধ মেরামত কাজে উৎসাহি করেন ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

সংশ্লিষ্ট পাউবোর শাখা প্রকৌশলী মোঃ ফরিদউদ্দীন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর তত্বাবধানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বর, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সহ এলাকার শত-শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের শ্রমের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে ভাঙন কবলিত বেঁড়িবাধ মেরামত করে এলাকা রক্ষা করেন। তিনি আরোও জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুকিপূর্ন বেঁড়িবাধ সংস্কারের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছেন,যা অচিরেই দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে বাঁধের কাজ শুরু হবে।

আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ

সংবাদটি শেয়ার করুন