দেশে করোনাভাইরাসের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বিবিসির বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই ট্রায়াল দেশে চালানো উচিত বলে মন্তব্য করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে কমিটি। আন্তর্জাতিক বাজারে টিকা আসলে তা শুরুতে কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য পাওয়া সম্ভব, সেই ব্যাপারগুলো মূলত উঠে এসেছে কারিগরি কমিটির ওই বিবৃতিতে।
যেসব প্রতিষ্ঠান বা দেশ টিকার ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে আছে, টিকা বাজারে আসার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাওয়া নিশ্চিত করতে তাদের সাথে এখনই যোগাযোগ করার সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি টিকা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ উৎপাদন বা কেনার প্রস্তুতি রাখা, টিকা পাওয়ার পর তা সংরক্ষণ, বিতরণের পরিকল্পনা নির্ধারণ করে রাখা এবং টিকা পাওয়ার পর জনসংখ্যার কারা অগ্রাধিকার পাবে তা এখনই ঠিক করে রাখার আহ্বান জানানো হয় কমিটির সুপারিশে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কয়েকটি সংস্থার টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চিলি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি বাংলাদেশে হলে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তা প্রমাণের সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি টিকা সফল হিসেবে প্রমাণিত হলে তা বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাওয়ার সুযোগও থাকবে।
অপরদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত লাইভ স্বাস্থ্য বুলেটিন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও সুপারিশ করা হয় কারিগরি কমিটির বিবৃতিতে। বুলেটিন চালানোর পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে প্রশ্নোত্তর পর্বও পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে