পাইকগাছায় আমাবশ্যার প্রবল জোয়ারে বয়ারঝাপায় ঝুকিপূর্ন ভাঙ্গা হাড়িয়া ওয়াপদার ভেঁড়িবাধ আবারো ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত ও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার বেলা ১২ টার দিকে প্রবল জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫ হাজার চিংড়ি ঘের, ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। যাতে কোটি কোটি টাকার মাছ ও ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় চিংড়ি চাষীরা জানান। ইউএনও এবং উপজেলা আলীগ সভাপতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- সহকারী মোঃ ফরিদউদ্দীন জানান, ইতোপূর্বে ৪বার সরকারি ও স্থানীয়ভাবে বাঁধ মেরামত করা হলেও টেকসই মেরামতের অভাবে বারবার এলাকাটি ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ঢুকছে। স্থায়ী বাঁধ মেরামতের জন্য ৩ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য বি,এম, আরেফিন জানান, ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর কাজের অপরাগতা জানিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক জানান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি খুবই ঝুকিপূর্ণ। কয়েকবার ভেঙ্গেছে, যা স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছি। সম্প্রতি ঝুকিপূর্ণ বাঁধটি মেরামত করতে গেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বাঁধা আসায় তা করা সম্ভব হয়নি। ফলে আমাবশ্যার জোয়ারের পানির তোড়ে তা ভেঙ্গে যেয়ে কোটি কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ৫টি গ্রামের অসংখ্য বাড়ী ঘর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ভাঙ্গন কবলিত যাতে দ্রুত টেকসই বাঁধ দেয়া যায় সে ব্যাপারে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকার মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বেঁড়িবাধ মেরামত করার জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু তিনি বলেন বিষয়টা সত্যি দুঃখজনক বিষয়টি এমপি মহোদয় ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করব এবং দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাবো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হকের নেতৃত্বে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছিল।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ