ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরামপুরের দুর্ধষ চুরির হিড়িক; ঢিলে ঢালা প্রশাসন

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার পৌর শহর এলাকায় গত ০৩ মাস যাবত ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। মাত্র ০৩ মাসের ব্যবধানে একের পর এক বাসা-বাড়ী, দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত হচ্ছে চুরি, লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি, প্রশাসনের ঢিলে ঢালা মনোভাব। এ পর্যন্ত কোন কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ, এতে দিশেহারা ব্যবসায়ী মহল সহ এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, করোনা ক্রান্তিকালে বিরামপুর পৌর এলাকায় গত জুন/২০২০ হতে আগস্ট/২০২০ মাসে এ পর্যন্ত দোকানপাট, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থানে ১০-১২টি দুর্ধষ চুরি সংঘটিত হয়েছে।

অপর দিকে চুরির ঘটনা অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ০৪ জনু পৌর শহরে বিরামপুর নবাবগঞ্জ রাস্তার পার্শ্বে অবস্থিত শ্রী অমল কুমারের মুদি দোকান ও আইসক্রিম ফ্যাক্টারী সহ একই রাতে পার্শ্ববর্তী দেলোয়ার হোসেনের আপন বোরখা হাউজ, মোঃ রফিক মিয়ার ড্রেস মাস্টার এন্ড ক্লথ ষ্টোর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।

এছাড়া গত ৩১ আগস্ট রাতে বালিকা বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে চুরি হয় ৩টি ফ্যান, ২৬ জুলাই কলেজ বাজারের ভাই ভাই ষ্টোর মোজাফ্ফরের দোকান থেকে নগদ টাকাসহ মোট ২ দুই লক্ষ টাকার মোবাইল, মেমোরী কার্ড, ফ্রেক্সিলোড টাকার কার্ড চুরি হয়। এছাড়া শহরের ঘাটপাড় ধানহাটি মোড় এলাকার আশরাফ মৌলভীর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের গদি ঘর থেকে, শান্ত কুমার কুন্ডুর বাড়ী, আব্দুলের পুত্র হুমায়ুনের বাড়ী, কলা বাগান ও রেল গেট এলাকার ঔষুধের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরদের এমন ধারাবাহিক চুরির প্রেক্ষাপটে গত ১৬ আগস্ট বিরামপুর ঢাকা মোড় নামক স্থানে বিরামপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহীনুর আলম শাহীন সাংবাদিকের মোবাইল টেলিকম ও শাহীন সু ষ্টোর নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপরের টিন ও হার্ডবোর্ড কেটে নগদ ৭৬ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার সমমূল্যের লকারে রক্ষিত একটি স্বর্ণের হার ও দোকানের মোবাইল সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিক শাহীন বাদী হয়ে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৯, এ প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনাত অভিযানে নামে পুলিশ এতে সোহেল রানা ও জুয়েল রানা নামক ০২ জনকে আটক করে ১৭ আগস্ট আদালতে সপর্দ করলেও এ পর্যন্ত চুরি হয়ে যাওয়া কোন টাকা পয়সা বা কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, এসব ঘটনার আলোকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। অপর দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, চুরির এমন ঘটনা প্রতিরোধে শহরে রাত্রিকালীন জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীকদের নিরাপত্তাকল্পে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে পৌরবাসী মনে করেন মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে এতগুলো চুরি যা শহরের ব্যবসায়ীক মহল ও এলাকাবাসীর নিরাপত্তাহীনতার সামিল এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতির চরম আশঙ্কা। এমন কঠিন মহুর্ত থেকে পরিত্রান পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার ব্যবসায়ীক মহল ও জনসাধারণ।

আনন্দবাজার/শাহী/কাম্রুজ্জামান

সংবাদটি শেয়ার করুন