সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পড়া না পারার অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে হয়রত আলী নামের এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে তার পরিবার।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদরাসা ও ইসলামী কিন্ডার গার্টেনে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম তৌফিকুর রহমান (১২)। তিনি পৌর এলাকার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের তুষার আহম্মেদ বুলবুলের ছেলে।
আহত শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান জানান, পড়া না পারার কারণে শিক্ষক হযরত আলী গাছের ডাল দিয়ে তাকে মারধর করেছে। গেল শনিবারও একইভাবে মারধর করে। পরে আজ রবিবার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অভিভাবকদের জানালে তারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদরাসা ও ইসলামী কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক হযরত আলী মারধরের কথা স্বীকার করে জানান, গেল কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষার্থী কোনো পড়া দিতে পারেনি। বারবার বুঝানোর পরও সে পড়া দিতে না পারায় রাগান্বিত হয়ে তাকে বেত দিয়ে মারধর করেছি । তবে মারটা একটু বেশি হয়ে গেছে। আমি এতে খুবই মর্মাহত। পরে তার অভিভাবকরা এসে শিক্ষার্থীকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে শুনেছি।
এই ব্যাপারে ভূঞাপুর ফাযিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদরাসার সভাপতি আব্দুছ সোবহান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কি কারণে শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে সেটা জানতে পারেনি। আমি হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়েছিলাম।
ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নিশাত সাইয়ীদা জানান, ওই শিক্ষার্থীর হাত-পা, উরু, ঘারেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের কারণে লাল ও ফুলে গুরুতর জখম হয়েছে। শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরীন পারভীন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। শিক্ষকসহ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ কে এইচ