নীলফামারীতে নতুন করে করােনা আক্রান্ত হয়ে আরাে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১জনে। এছাড়াও করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭২২ জন। নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন, জেলা শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গােলাম মাওলা সাদিক সাবু (৫২) ও শহরের পাঁচমাথা এলাকার নজরুল ইসলাম (৭০)।
গােলাম মাওলা সাদিক বুধবার (১২ আগষ্ট) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রংপুর করােনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি জেলার ডােমার উপজেলার ভােগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজার। গত ৪ আগস্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ আগস্ট পরীক্ষায় তার করােনা পজেটিভ ধরা পড়লে রংপুর করােনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
অপরদিকে, গত ৯ আগাষ্ট করােনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান নজরুল ইসলাম। তিনি গত ৮ আগাস্ট করাপনা পরীক্ষার নমুনা দিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। পরদিন ১০ আগাস্ট রাত দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে তার করােনা পজেটিভ প্রতিবেদন আসে।
জেলায় আজ পর্যন্ত করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭২২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৫৭ জন। আক্রান্ত ৭২২ জনের মধ্যে সদরে ৩৩৩, ডােমারে ৬৪, ডিমলায় ৭২, জলঢাকায় ১১৪, কিশােরগঞ্জে ৪৩ জন, এবং সৈয়দপুর উপজেলায় ৯৬ জন। সুস্থ হওয়া ৬৫৭ জনের মধ্যে সদরে ৩০৬, ডােমারে ৬০, ডিমলায় ৬৪, জলঢাকায় ৯৮, কিশােরগঞ্জে ৪১ জন এবং সৈয়দপুর উপজেলায় ৮৮ জন।
জেলায় মােট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৩৫ টি। মঙ্গলবার পর্যন্ত ফলাফল পাওয়া গেছে ৫ হাজার ৪২৩ টির।
সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিত কুমার বর্মন এর সত্যতা নিশ্চিৎ করে ১২ আগস্ট বুধবার বলেন, “জেলায় নতুন করে দুইজনের মৃত্যুর পর মােট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জন। উল্লেখ্য, জেলা সদরে এক নারীসহ তিন জন, জলঢাকায় এক নারীসহ দুইজন, কিশােরগঞ্জে এক জন এবং সৈয়দপুর উপজলায় তিন জন করানা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
আনন্দবাজার/শাহী/মনন