সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বংশীকুণ্ডা (উঃ) ইউনিয়নের বাকাতলা (কান্দাপাড়া) গ্রামে নেশাগ্রস্ত মাতাল এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য আদালতে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ইসলাম উদ্দিন মিকার, ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে মাস্টার আলী মিলে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী তারা তিনজনই বাকাতলা (কান্দাপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামের খুঁটিনাটি দেন দরবারে গ্রামবাসী রমজান আলীর কাছে আসে। সম্প্রতি ছিদ্দিকুর রহমান (মাস্টার আলী) ও ইসলাম উদ্দিন মেকার হিংসা বসত তাকে গায়েল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন রমজান আলী।
অপরদিকে দিকে মাস্টার আলীর ছোট ভাই আজিজুল হক (২২) চলতি বছরের ২০ জুলাই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অধিক পরিমাণে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করায় তার ব্রেইন নষ্ট হয়েছিল বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে কিছু দিন চিকিৎসা করার পর কোনো উন্নতি না হলে পরবর্তীতে তাকে ময়মনসিংহ পাঠানো হয়।
এই সুযোগে প্রতিপক্ষকে গায়েলের জন্য ইসলাম উদ্দিন মেকারের যোগসাজসে মাস্টার আলী বাদি রমজান আলীসহ চারজনকে আসামি করে উপজেলার মধ্যনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে ব্যাপারটি মিথ্যা এবং বানোয়াট বিধায় মধ্যনগর থানায় মিথ্যা মামলাটি রেকর্ড করতে পারেনি। পরবর্তীতে ধর্মপাশা উপজেলা সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
এই নিয়ে বংশীকুন্ডা( উঃ) ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
এই ব্যাপারে রমজান আলী বলেন, আমাকে অভিযুক্ত করে ফাঁসানোর জন্য আদালতে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এবং বাকাতলা (কান্দাপাড়া) গ্রামের ইসলাম মিকারের বড়ভাই হাফিজ উদ্দিনের মেয়ের জামাই সোহেল ও ফয়সাল নানা ধরনের চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। এইসব ধরনের কাজে সহযোগিতা করে ইসলাম মিকার।
মধ্যনগর থানা পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশক্রমে দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত পক্রিয়ায় আছে।তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সত্য মিথ্যা যাচাই করা হচ্ছে না।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এস আ