টাঙ্গাইলের যমুনা এবং ধলেশ্বরী নদীসহ নানা নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। বন্যা শেষ হতে না হতেই এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের সাধারণ মানুষজন।
ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে বাড়িঘর সরানোর সময়টুকু পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। ভাঙনরোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভাঙন কবলিত মানুষজন। উপজেলা প্রশাসন বলছে, ভাঙন কবলিতদের পুনর্বাসন করা হবে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
বন্যার পানি কমতে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু শুরু হয়েছে ভাঙন। তবে ভাঙন কবলিতরা বলছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের বাড়িঘর।
এরইমধ্যেই গেল এক মাসে ২ শতাধিক বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের কোনো প্রকার খোঁজ-খবর নেয়নি। ভাঙনরোধে কোনো প্রকারের ব্যবস্থাও করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, সরকার যদি তাদের থাকার ব্যবস্থা করে, তবে তারা এই দুঃসময় থেকে মুক্তি পাবেন। সেই সাথে এই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করছেন তারা।
এই ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সাহায্য করা হচ্ছে। সেই সাথে যাদের বাড়ি করার জায়গা নেই, তাদের বাড়ি করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অপরদিকে জেলা পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলো ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এই বাঁধ নির্মাণ করা হলে আর ভাঙন হবে না।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে