করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি হয়েছে ৭২ হাজার একক কনটেইনার। যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু পণ্য রফতানিই নয়, আমদানিতেও করোনার ধকল কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশ। তবে এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি আমদানি পরিস্থিতি।
গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি আবদুস সালাম জানান, কারখানা খোলার ব্যাপারে সরকারের সঠিক, চ্যালেঞ্জিং এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই আমরা রফতানিতে বড় সুফল পাচ্ছি। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা, নীতিগত সহায়তা এবং শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আন্তরিকতাও প্রশংসা করার মতো। তখন যদি কারখানা না খুলত, তাহলে এই সেক্টরের অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকত কল্পনাই করতে পারতাম না।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পরিবহন করা জাহাজের মেইন লাইন অপারেটরের (এমএলও) সর্বশেষ হিসাবে, মার্চে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রফতানি পণ্য পরিবহন হয়েছে ৬১ হাজার ৭০০ একক কনটেইনার। করোনার প্রকোপে এপ্রিলে রফতানিতে ধস নেমে ১৩ হাজারে নেমে আসে। মে মাসে কিছুটা বেড়ে ৩০ হাজার একক হয়। যা জুন মাসে আরও বেড়ে ৫০ হাজার একক হয়েছে। এবং জুলাই মাসে রফতানি বেড়ে ৭২ হাজার ৩৫৯ এককে উন্নীত হয়েছে। জুলাই মাসের এই রফতানি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন, এই ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া ২০১৯ সালের পুরো বছরের চেয়ে মাসভিত্তিক রফতানির চেয়েও বেশি। যা থেকে বোঝা যায় করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
বিদেশি জাহাজ পরিচালনকারী জিবিএক্স লজিস্টিকস লিমিটেডের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাসির রুবাইয়াত জানান, আমার জানা মতে অতীতে এক মাসে এত বেশি পরিমাণ পণ্য রফতানি আমরা করিনি। দুই কারণে এই রফতানি বেড়েছে। একটি হচ্ছে, বিদেশি ক্রেতারা পুরনো অর্ডারগুলো নেওয়া শুরু করেছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, অনলাইন বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি আগের চেয়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগস্টে রফতানির এই প্রবৃদ্ধি হয়তো থাকবে না। তবে অবশ্যই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। আর আগস্টে আমদানিও স্বাভাবিক গতিতে থাকবে। তবে জুলাইয়ে গার্মেন্ট খাতের কাঁচামাল কতটা আমদানি হয়েছে সেটি জানা গেলে আগস্টে রফতানির ট্রেন্ডও আগে থেকেই জানা যেত।
আনন্দবাজার/টি এস পি