ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রীজে দর্শনার্থিদের উপচে পড়া ভিড়

ঈদ আনন্দে পাইকগাছার ব্রীজগুলোতে দর্শনার্থিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্য দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদের দিন ও তার পরের ২ দিন ব্রীজগুলোতে জনস্রোত পরিলক্ষিত হয়।

পাইকগাছাইয় বিনোদনের কোন স্পর্ট না থাকার কারণেয়া ব্রীজগুলিই বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে। রাড়ুলী স্যার পিসি রায়ের বসতভিটা ও উপজেলা সদরে মধুমিতা পার্ক নামে একটি পার্ক থাকলেও সেখানে কোন বিনোদনের পরিবেশ না থাকায় কেউ যায় না। এ কারণে পাইকগাছাবাসীর অনেকেই মধুমিতা পার্কের নাম ভুলতে বসেছে।

নদীবেষ্টিত পাইকগাছা উপজেলা সদর পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলো ৩টি ব্রীজ দ্বারা যোগাযোগ মাধ্যম তৈরী হয়েছে। পূর্বপাশে শিবসা ব্রীজ, দক্ষিণ পাশে শিববাটী ব্রীজ ও পশ্চিম দিকে কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রীজ (প্রস্তাবিত পিসি রায় ব্রীজ) অবস্থিত। যে কোন উৎসবে এই ব্রীজ ৩টিতে দর্শনার্থিদের বিনোদনের কেন্দ্র হিসাবে পরিণত হয়।

পাইকগাছা কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রীজ। ব্রীজ সংলগ্ন বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে বিনোদনের জন্য ছোট একটি পার্কের মত জায়গা রয়েছে। অনেকেই সেখানে উৎসবে পিকনিক সহ ছোট অনুষ্ঠান করে থাকে। ব্রীজের নীচে কপোতাক্ষ নদে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ কেউ নৌকা ভ্রমনে মেতে ওঠে।

এবারের ঈদে বোয়ালিয়া ফার্ম ও বোয়ালিয়া ব্রীজে দর্শনার্থিদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। দর্শনার্থি মিমি আক্তার জানান, পাইকগাছায় বিনোদনের জন্য কোন পার্ক না থাকায় বোয়ালিয়া ব্রীজ ও ফার্ম এলাকায় ঈদে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছে। উন্মুক্ত পরিবেশে খুব ভালো লাগছে। ব্রীজে দর্শনার্থিদের ঢল নামায় ব্রীজের উপর ভ্রাম্যমান ছোট ছোট দোকান বসতে দেখা যায়। দর্শনার্থিদের নিরাপত্তার জন্য ব্রীজগুলোতে পুলিশি টহল ব্যবস্থা ছিল।

আনন্দবাজার/শাহী/মিলন

সংবাদটি শেয়ার করুন