চট্টগ্রামে বিক্রি না হওয়া প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি কোরবানির পশুর চামড়া ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব চামড়া নগরীতে বিক্রি করতে এনে দাম না পেয়ে ফেলে চলে যান মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। খবর ইউএনবি’র।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, বিক্রি করতে না পেরে অনেকে চামড়া মাটির নিচে পুঁতে ফেলেছেন। কেউই চামড়া বিক্রি করতে পারেননি সরকার নির্ধারিত দামে। সব মিলিয়ে এবারও চামড়া ব্যবসায় বিপর্যয় ঘটেছে।
তবে আড়তদারদের দাবি, এবার তেমন বেশি চামড়া নষ্ট হয়নি এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
কোরবানির পর শনিবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রয়ের আড়ৎ আতুরার ডিপু এলাকায় চামড়া বিক্রি করতে নিয়ে আসেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারা ২০০-৩০০ টাকায় সংগ্রহ করা প্রতিটি চামড়া ৫০ টাকা দামেও বিক্রি করতে পারেননি। পরে এসব চামড়া রাস্তার পাশে ফেলে চলে যান তারা। এসব চামড়া থেকে এক পর্যায়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে সিটি করপোরেশন এগুলো ময়লার গাড়িতে করে ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যায়।
কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, রবিবার রাত পর্যন্ত আমরা ২০ হাজারেরও বেশি চামড়া ডাম্পিং করেছি। পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব চামড়া এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম বলেন, উপজেলা থেকে আনা কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। আড়তদারদের গাফিলতি ছিল। তারা দেরি করেছেন। দাম কম দিতে চেয়েছেন বলে এসব চামড়া অনেকে বিক্রি করতে পারেননি। এ ছাড়া নগরীর সুন্নিয়া আহম্মদিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রায় পাঁচ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে।
চামড়া নষ্ট হওয়ার বিষয়ে আড়তদারদের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
প্রসঙ্গত, এক সময় বন্দর নগরীতে ২২টি ট্যানারি ছিল। এখন রয়েছে মাত্র একটি। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম না মানার কারণে বাকি ট্যানারিগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার/শহক