ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছায় শেষদিকে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট

পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর কোরবানীর পশুর হাট শেষদিকে জমে উঠেছে।সাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। মাক্স ছাড়া কোন ক্রেতা ও বিক্রেতাকে পশুর হাটে ডুকতে দেওয়া হবেনা মাইকিং করে ঘোষনা করলেও তা অনেকেই মানছেনা।

হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোন পক্ষই। ক্রেতা বলছেন দাম বেশি আর বিক্রেতা বলছে দাম কম। তবে গৃহস্থদের পালা স্বাস্থ্যসম্মত দেশী জাতের গরু স্থানীয় ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি। যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত। তবে বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম আর বেশি দামের অজুহাতে ক্রেতা ভিড়ছেও কম। গরু বিক্রেতা মফিজ মোড়ল জানান, তার গরুর দর হয়েছে ১লাখ ১৫ হাজার, তিনি দাম চেয়েছেন ১লাখ ৬০ হাজার। গরু লালন –পালন করতে খরজ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এতে করে গরুর যে দাম উঠেছে তাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এ দিকে ক্রেতারা বলছে গরুর দাম বেশী।

পশুর হাটের ইজারাদার শাহ মোহাম্মদ ওলি ও ইউপি সদস্য জবেদ আলী জানান, সাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাইকিং করে সতর্কতা করা হচ্ছে।তাছাড়া ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।কেউ মাক্স ছাড়া আসলে তাকে বিনা মূলে মাক্স পরিয়েদিয়ে হাট প্রবেশ করতে দিচ্ছে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছেন।

কোরবানী পশুর হাটে যাতে কেউ রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে না পারে তার তদারকি করছে হাট কর্তৃপক্ষ। এ বছর কোরবানীর পশুর হাটে দেশীয় জাতের মাঝারি আকারের পশুর চাহিদা বেশি। লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঔষধ দিয়ে মোটাতাজা করা গরুর চাহিদা কম। এ কারণে উন্নত জাতের মোটা তাজা করণ খামারের পশুর চাহিদা কম।

উল্লেখ্য, উপজেলার চাঁদখালী ও কাশিমনগর দুটি স্থায়ী এবং গদাইপুর বাজারসহ ৩টি পশুর হাট বসেছে। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুর হাট গুলোতে গৃহপালিত, খামারী ও ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত গরু ও ছাগল সরবরাহ করছে।

হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফড়িয়ারা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৩৫ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে বিদেশী জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৩৫ হাজার মূল্যের মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাটগুলো থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করছে।

পাইকগাছা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণীসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। হাট কমিটির উদ্যোগে বাজার মনিটরিং ও প্রচারের জন্য মাইকের ব্যবস্থা করে ক্রেতাদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। কোরবানির পশু বাণিজ্য ঘিরে জালনোট রোধ ও হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন পাইকগাছা থানা পুলিশ।মাঝে মাঝে পশুর হাট গুলিতে র্যাব টহল দিচ্ছে।তাছাড়া রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের তদারকি।

আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ

সংবাদটি শেয়ার করুন