ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের নেমেছে জেলার কৃষকরা। এর মধ্যে ১ হাজার হেক্টরে উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ৩৮ হাজার হেক্টরে স্থানীয়া জাতের আবাদ লক্ষ্যমাত্র রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের আবাদ থেকে চাল আকারে ২৮ হাজার একশ এক মেট্রিক টন এবং স্থানীয় জাতের আবাদ থেকে ৫৭ হাজার মে.টনসহ ৮৫ হাজার ১০১ মে.টন চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
জেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দাবি করেছে, ধানের দাম ভালো থাকায় এব বছর আমন আবাদে কৃষকের আগ্রহ রয়েছে এবং লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে। ইতোমধ্যে কৃষকরা ৪শ হেক্টরে আমনের বীজতলা রোপন করছে।
মাঠে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকরা বীজ রোপনের জন্য চাষ দিয়ে ক্ষেত প্রস্তুত করছে এবং বীজ রোপনের পূর্বে টিএসপি ও এমওপি সার দিচ্ছে। কোন কৃষকরা তাদের ক্ষেতে দলবদ্ধ হয়ে বীজ রোপন করছে। এবছর আমন চাষাবাদ মৌসুমের শুরুতে আমফান জনিত বন্যার কারণে পানি বৃদ্ধির ফলে এবং তার সাথে সাথেই ৩-৪দিন টানা বৃষ্টিপাতে কিছু কিছু বীজতলা নষ্ট হওয়ার পর কৃষকরা পুনরায় বীজতলা করে আমন আবাদ যুদ্ধে নেমেছে।
এবছর বীজের কোন সংকট হয়নি এবং সার সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। বিএডিসি আমন চাষাবাদের শুরুতে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে বীজ সরবরাহ করতে পেরেছে। ঝালকাঠি জেলায় উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে ব্রী ৫২, ব্রী ৫৭, ব্রী ৫৮, ব্রী ৬৭, ব্রী ৪৭, ব্রী ২৮-২৯ এবং বিনা-৮ ও ১০ জাতের বীজ ব্যবহার করছে। স্থানীয় জাতের মধ্যে মৌলতা, নাকুচি, লাল মোটা, সাদা মোটা, বেতি চেকন জাতের ধানের আবাদ হচ্ছে। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে বীজ রোপন কালিন কৃষকদের কে সারিতে লগো পদ্ধতিতে বীজ রোপনের পরামর্শ প্রদান করছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ব্লকে বীজ রোপন করছিলেন কৃষক দুলাল হাওলাদর, তানজের আলী হাওলাদরাসহ ১০-১২জন। মাঠ পর্যায় উপস্থিত থেকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের জাত পৃথিকী করণ সারিতে লগো সিস্টেম করে বীজ রোপনে সহায়তা করছে।
আনন্দবাজার/শাহী/বাধন