বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের বঙ্গবন্ধু ও মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল থেকে ৭০ কোটি টাকার বেশি আয়বঞ্চিত হয়েছে সরকার। করোনার প্রকোপের কারণে সাধারণ সময়ের তুলনায় ৭০ কোটি আয় কম হয়েছে সরকারের।
জানা যায়, সরকারের সেতু বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বঙ্গবন্ধু সেতুটি। যার আয় থেকে দাতাদের ঋণ পরিশোধ করা হয় বছরে গড়ে আড়াই শ কোটি টাকা। এছাড়া সেতুর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণও চলে টোলের আয় থেকে। পাশাপাশি সেতু বিভাগের অন্য খরচও বহন করা হয় টোলের আয় থেকেই।
এদিকে মেঘনা-গোমতী সেতু দুটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের। এই দুটি সেতুর টোল আদায় হয় এক স্থান থেকে। আদায় করা টোল সরকারের ঘরে চলে যায় এবং দাতাদের ঋণ শোধ করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লকডাউনের আগে মার্চে ৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি টোল আদায় হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি মাসে গড়ে এমনই আয় হয়ে থাকে। এপ্রিল ও মে মাসে মোট আয় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই দুই মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় আয় কম হয়েছে ৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো। তবে জুন থেকে সেতুর টোল আদায় স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
সওজ সূত্র জানিয়েছে, মেঘনা-গোমতী সেতুতে জুনেও টোল আদায় স্বাভাবিক হয়নি। জুলাই থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সেতুটির টোল আদায় সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, এপ্রিল, মে ও জুন মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম টোল আদায় হয়েছে।
এতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের দুটি প্রধান সড়কের ওপর নির্মিত সেতুতে ৭০ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম টোল আদায় হয়েছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি