ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদকের আখড়া হয়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতাল গুলো

সেবা মহৎ পেশা আর এই পেশার নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু অসাধু চিকিৎসা ব্যবসায়ী পুরো সেবা খাতটাকে ধংসের মুখে ফেলে দিচ্ছে। না:গঞ্জ শহরে ছোট বড় মিলেয়ে প্রায় শ’খানেক বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে ওঠেছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগেরই লাইসেন্সের মেয়াদ নাই। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতারনার মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বলতে গেলে রোগীরা প্রায় জিম্মি এই সব হাসপাতালের কাছ।

তাছাড়া ডাক্তারদের সেবা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রোগীরা। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে চিকিৎসাসেবার মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণার পর দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বাংলাদেশে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ বছরে বেসরকারি খাত থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন। এখানে বাণিজ্যিক মুনাফাই মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

করনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে গর্তে লুকিয়ে ছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলো। চিকিৎসার নামে রোগীদের গলাকেটে ‘মোটাতাজা’ হওয়া হাসপাতাল সংক্রমিত হতে পারে সে ভয়ে দরজা বন্ধ করেছিল। এমনকি করোনার ভয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি।

এছাড়াও অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে, এসব হাসপাতালে বিভিন্ন রকম মাদকের আখড়া বসানো হয় ও দেহ ব্যবসায় চলে। এসবের সাথে হাসপাতালের পরিচালকেরা জড়িত বলে জানা যায়।

বর্তমানে ৩০০শয্যা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা চলায় অন্যসব চিকৎ্সা বন্ধ আছে। এর সুযোগ বুঝে এই সব হাসপাতাল গুলো হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর হাসপাতালের এই সব অপকর্মের সাহায্য করছে কিছু অসাধু চক্রের দালাল ও ডাক্তাররা ।

আনন্দবাজার/শাহী/বনি

সংবাদটি শেয়ার করুন