ঢাকা | রবিবার
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফটিকছড়িতে স্বপ্নের কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতাল উদ্বোধন

চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার এলাকার স্থানীয় সকলের সহযোগিতায় মানুষের ভালবাসায় গড়ে তোলা কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুলাই) ফটিকছড়ি উপজেলার সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।

উদ্ভোদনের সময় উপজেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা জহরুল হক হল রুমে উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জানে আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, ফটিকছড়ি থানা অফিসার্স ইনচার্জ বাবুল আকতার, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ডা. জয়নাল আবেদীন মুহুরী, ডা. আবুল বাসেত প্রমুখ।

এদিকে, উক্ত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন, সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র ইসমাইল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি জানান, ফটিকছড়িবাসীর সুচিকিৎসার কথা চিন্তা করে আমি উপজেলার সদর ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসাবে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছি। যা রূপান্তরের জন্য প্রয়োজন ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা। এতটাকা কিভাবে আসবে সে চিন্তায় সন্দিহান ছিলাম আমরা সবাই। কিন্তু ফটিকছড়ির মানুষ এভাবে এগিয়ে আসবে আমি কল্পানাও করতে পারিনি। হাসপাতালটি সরকারী হিসাবে বন্ধ থাকায় এতে কোন প্রকার বরাদ্দ না থাকা স্বত্বেও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। ফটিকছড়িবাসী নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। মুজিববর্ষে আমি এ হাসপাতাল প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিলাম।

তিনি আরও জানান, আমার উপজেলায় কোন মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে পারে না। এছাড়াও যারা এ হাসপাতালের জন্য নানা ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের কথা সবাই আজীবন মনে রাখবে। একইসাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন যিনি হাসপাতাল রূপান্তরের জন্য প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তার এমন গুরুদায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য।

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এবং অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন হাসপাতালটি গড়ার জন্য এগিয়ে এসেছে, শিল্পপতি, রাজনীতিবীদ, বিভিন্ন ধর্মীয়-সামাজিক সংগঠন, শিক্ষার্থীরা সহ ছোট বড় অনেকেই। সবার সহযোগিতায় উপজেলা আপদকালীন ফান্ডে এ হাসপাতালের জন্য জমা হয় ১,৫৯,৫৩২০(এক কোটি উনষাট লাখ পাঁচ হাজার তিনশো বিশ টাকা), যা বিশেষায়িত হাসপাতাল রূপান্তরের প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা।

এজন্য সর্বস্তরের জনসাধারণ ফটিকছড়ি বাসীকে অভিনন্দন জানান। নিজেদের টাকায় নিজেরা হাসপাতাল তৈরী করতে পেরে আনন্দিত ফটিকছড়িবাসী।

 

আনন্দবাজার/শাহী/জিপান

সংবাদটি শেয়ার করুন