পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. খালেদা খাতুন রেখার। বুধবার রাতে নতুন করে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।প্রসঙ্গগত এরআগে গত ১২ জুলাই তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল।
বাস্তব রূপেদেখা গিয়েছে আক্রান্ত হওয়ার আগে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে, মানুষকে ঘরমুখী করতে, ভ্রাম্যমান বাজার, সেবার নৌকা, মাস্ক, সাবান-হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বন্ধ রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, অসহায় মানুষের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া, গ্রামে গ্রামে গিয়ে সবজি চারা রোপনসহ প্রায় চার মাস দিন-রাত ছুটে বেড়িয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা। নিজের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরও তিনি দায়িত্ব থেকে নিবৃত্ত হননি। কোয়ার্টারের নিচতলায় আইসোলেশনে থেকে দাপ্তরিক কাজ ছাড়াও অন্য আক্রান্তদের খোঁজখবর নেওয়াসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন।
মোছা খালেদা খাতুন রেখা জানান, গত ৯ জুলাই মাথা ব্যথা, জ্বর, শুকনো কাশি ছাড়া তার তেমন কোনো উপসর্গ ছিল না। ১০ জুলাই তার নমুনা সংগ্রহ করে বরিশালে পাঠানো হয়েছিল। ১২ জুলাই রাতে করোনা পজেটিভের কথা জানানো হয়। করোনা পজিটিভ শব্দটি শুনে তিনি মোটেই ভীত বা ভেঙ্গে পড়েন নি। বরং দৃঢ় মনোবল নিয়ে পরিবারকে বুঝিয়ে কোয়ার্টারের নিচতলায় সবকিছু আলাদা করে আইসোলেশনে চলে যান। তবে তার ১২ বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কিছুটা বিচলিত ছিলেন। পরে তার নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তিনি স্বস্তি পান।
তিনি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, পরিবারসহ স্বজন আর শুভানুধ্যায়ীদের অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসায় তিনি করোনাকে জয় করেছেন।
আনন্দবাজার/শাহী/মিজান