করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ আছে দেশের প্রায় ১’শ বিনোদন পার্ক। এতে যেমন আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। পার্ক মালিক সমিতি দাবি করছে, এই পরিস্থিতিতে প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন পার্কগুলো খুলে দেয়ার কথা বলছেন।
কনকর্ড গ্রুপে’র (অপারেশন) ম্যানেজার ফারুক হোসাইন বলেন, গত রোজার ঈদে আমরা কোনো আয় করতে পারিনি। কুরবানীর ঈদেও যদি আয় না করতে পারি ভবিষ্যতে টিকিয়ে রাখতে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্ক এন্ড এট্রাকশন’র সমন্বয়ক অনুপ কুমার সরকার বলেন, সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছি। সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্কগুলো পরিচালনা করতে পারবো।
দীর্ঘদিন বাসায় আবদ্ধ থাকা মানুষগুলোকে মানসিক প্রশান্তি দিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্ক খুলে দেয়ার পক্ষে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, আমাদের বাচ্চারা একটানা ঘরে আবদ্ধ থেকে এক ধরণের মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। এ ক্ষেত্রে যে জায়গাগুলোতে সংক্রমণ কম সেখানে এগুলো খুলে দেয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, আমরা এ বিষয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করেছি। এ নীতিমালা আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে হাতে হাতে পৌঁছে যাবে। ডিস্ট্রিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যদি মনে করে তাহলে খুলে দেবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি