পাবনার চাটমোহরে মারধর করে কেটে দেয়া হয়েছে এক নারীর চুল। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাতে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ঐ নারী ও তার কথিত প্রেমিককে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয় গ্রামবাসী। এ ঘটনার পর ওই নারীর দায়ের করা মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কুকড়াগাড়ী গ্রামের রেজাউল করিম মঞ্জু (৪০), মোতালেব হোসেন (৪০), আলিফ হোসেন (৩২), জমিন উদ্দিন (৩২), মুক্তার হোসেন (৩৪), আলম হোসেন (৪০), কালু প্রামানিক (৩০), আয়নাল হোসেন (৪০) ও মামুন হোসেন (৩০)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দশটার দিকে কুকড়াগাড়ী গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী (৩৫) ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩৮) ওই নারীর বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়-এমন অভিযোগ তুলে ছাইকোলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাবসহ গ্রামবাসী তাদের আটক করে। পরে দু’জনকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে ওই নারী বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় পুলিশ গ্রামের ৯ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাইফুল ইসলাম ওই নারীর কাছে এক হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকা আনতেই মুলত মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে যান। ঘরে বসে কথা বলার সময় গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি তাদেরকে আটক করে কোনো কিছু না শুনে মারধর করে। এক পর্যায়ে দু’জনের মাথার চুল কেটে দিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারীকে মারধর ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় ভুক্তভোগী সাইফুল ও মেম্বারকে অভিযুক্ত না করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এস আর