নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্য সব স্থানের চেয়ে চাষাঢ়া ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল একটু বেশি। আর তাই এসব স্থানে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহন ও রিক্সাও চলাচল করে । তবে সেই তুলনায় রাস্তার পরিমান ও আয়তন খুব কম। এমনটাই মনে করছেন নগরীর সচেতন মহলের লোকজন।
সরেজমিনে দেখা যায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক ও সলিমুল্লাহ সড়কে পরিবহনের সংখ্যা রাস্তার চেয়ে অনেক বেশি। আর এতে করে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর তাই সাধারন মানুষের চাষাঢ়া থেকে ২ নং রেল গেইট যেতে ৫ মিনিটের রাস্থায় ১৫- ৩০ মিনিট আবার কখনো ১ ঘন্টা সময় লাগছে।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলার মোট জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ। তবে এর প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ শুধু শহর এলাকায় বসবাস করেন। আর এর দ্বিগুন মানুষ চলাচল করে শহরের রাস্তা গুলোতে। এসব মানুষের চলাচল করার জন্য দিন দিন বাড়ছে পরিবহন, গনপরিবহন, রিক্সা সংখ্যা। পরিবহন , রিক্সা বাড়ায় এতে করে সড়কে বাড়ছে দীর্ঘ যানজট। তবে কোথাও রাস্তার আয়তন বাড়ছে না উল্টো দিন দিন দখল হচ্ছে রাস্তা। শহরে রাস্তার আয়তন আছে পপিমানের চেয়ে ৬০ ভাগ কম। এতে করে ৫ মিনিটের রাস্তা পারি দিতে সময় লাগছে ১৫ থেকে ১ ঘন্টা। এতে ভোগান্তিতে পরছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, শহরে স্থায়ী কোনো বাসষ্ট্যন্ড নেই। এর ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটে চলাচল করা গণপরিবহন গুলো সড়কের বিভিন্ন স্থানে ষ্ট্যান্ড করে রাখে। এতে করে রাতে এমনকি দিনের বেলাতেও রাস্তা দখলে থাকছে বলে অভিযোগ সাধারন পথচারীদের।
নগরবাসীর মতে, যানজট নারায়ণগঞ্জে অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অন্যথায় শহরবাসীকে দিনের পর দিন দূর্ভোগ পোহাতে হবে।
সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল আমিনকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আনন্দবাজার/রিফাত