সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সমস্যা সমাধানের জন্য ডাকা সালিসে সমস্যার সমাধান না করে উল্টো এক নিরীহ কৃষকের প্রাণ নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। সালিসে গোলাম কুদ্দুছ নামের এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তারপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই কৃষক। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ওই কৃষক উপজেলার চন্দনপুর ইউপির হিজলদি গ্রামে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার এসআই রাজ কিশোর পাল বলেন, গোলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি নারীঘটিত অভিযোগ করেন তার প্রতিবেশী। এতে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নির্দেশে গোলাম কুদ্দুসকে নোটিশ করে ডেকে আনা হয়। শুক্রবার গ্রাম আদালতে বিষয়টির সমাধানের জন্য সালিস বসে। এতে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ও দুই চৌকিদার দিলীপ ও অশোক। ওই সালিসে কুদ্দুসকে দোষী সাব্যস্ত করে লাঠি দিয়ে মারধর করেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম কুদ্দুস।
তিনি আরও বলেন, গোলাম কুদ্দুস বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এসআই রাজ বলেন, গোলাম কুদ্দুসের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গোলাম কুদ্দুসের মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, অভিযোগকারী মনি ও তার ভাবী রাজিয়া খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান এসআই রাজ।
আনন্দবাজার/টি এস পি