ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরের নেছারাবাদে বাড়ছে করোনা

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের পরিসংখ্যানবিদসহ নতুন করে আরো ৭ জনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬১ জনে। এর মধ্যে ১২ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়া মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান গত শনিবার ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সোমবার রাতে আসা রিপোর্টে ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্তের বিষয়টি জানা যায়।

পিরোজপুর জেলায় একদিনে ১৯ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে। গত ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ জুলাই, ২০২০ইং তারিখ ৪১ টি রিপোর সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করা হয় তার মধ্যে ১৯ জন নতুন পজেটিভ সনাক্ত হয়।জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় ০৮ জন, নেছারাবাদ উপজেলায় ০৭ জন, সদর উপজেলায় ০৪ জন) জেলায় মোট পজেটিভ সংখ্যা ৫৪৬। মোট স্যাম্পল প্রেরনের সংখ্যা ৩২৭৯। মোট কোভিড-১৯ নেগিটিভ ২১৬৩। মোট পজেটিভ থেকেসুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২৫৮। এছাড়া মোট পেন্ডিং রিপোর্ট সংখ্যা ৬০১।

পজেটিভ ও সুস্থতা উপজেলা ভিত্তিক :সদর উপজেলায় (সদর হাসপাতাল সহ) : ১৩১ জন (সুস্থ ৬৬ জন)। ভান্ডারিয়া উপজেলায় : ৮২ জন ( সুস্থ ৬৪জন)। মঠবাড়িয়া উপজেলায় : ১৬৯ জন ( সুস্থ ৭২ জন)। কাউখালী উপজেলায় : ৪৬ জন ( সুস্থ ১৯ জন)। নেছারাবাদ উপজেলায় : ৬১ জন ( সুস্থ ১২ জন)। ইন্দুরকানী উপজেলায় : ২২ জন ( সুস্থ্য ১৯ জন)। নাজিরপুর উপজেলায় : ৩৫ জন (সুস্থ ১৫ জন)।

পজেটিভ কেস হতে মৃত্যুর সংখ্যা : ০৮ জন। সদর উপজেলায় (সদর হাসপাতাল সহ) : ০৩ জন। নাজিরপুর উপজেলায় : ০১ জন। নেছারাবাদ উপজেলায় : ০১ জন। ইন্দুরকানী উপজেলায় : ০১ জন। ভান্ডারিয়া উপজেলায় : ০১জন। নেছারবাদ উপজেলায় : ০১ জন।

গতকাল ২০ জুলাই রাত দশটার দিকে পিরোজপুর জেলার সিভিল সার্জনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে করোনা সংক্রমন ঝুঁকির মধ্যেও শারীরিক দুরত্বের তোয়াক্কা করছেনা বেশির ভাগই এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা অধিকাংশ মানুষ। হাতে গোনা কয়েকজন মাস্ক পরলেও বেশীর ভাগ লোকজনের মুখে মাস্ক নেই। বাজার গুলোতে উপচে পড়া ভিড় জমতে শুরু করে সকাল থেকেই। সন্ধা সাতটায় দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অনেকেই মানছে না, সে নিয়ম। জগন্নাথকাঠি বাজার সহ গ্রামাঞ্চলের এলাকাগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত পুরো দমে চলছে দোকানের কেনা-বেচা। কোথাও কোথাও চায়ের দোকানে চলছে টিভিতে মুভি দেখার হিড়িক এবং অনেক দোকানে দলবেঁধে চলে মোবাইলে লুডু খেলার তান্ডব।

উল্লেখ্য, নেছারাবাদে সংক্রামণ রোধে প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই বললেই চলে।

আনন্দবাজার/শাহী/মিজান

সংবাদটি শেয়ার করুন