ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে পদ্মা

অথৈ জলে ভাসছে মাদারীপুরের আশ্রয়কেন্দ্র। পানি ছুঁয়েছে বানভাসিদের ঘরের চাল পর্যন্ত। সেকারণেই পানির মধ্যে ভেসে থাকা আশ্রয়কেন্দ্রেই ঠাঁই করে নিচ্ছেন বন্দরখোলাসহ শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বানভাসিরা। ভয়াবহ বন্যা আর প্রবল স্রোতে পদ্মা নদীর ভাঙন যেন দিন দিন বেড়েইে চলেছে। একদিকে বন্যা অন্যদিকে নদীভাঙন এই দুই নিয়ে এক ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে পদ্মা।

বন্দরখোলা ইউনিয়নের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নুরুদ্দিন মাদবর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, একটি বাজারসহ বিস্তীর্ণ এক জনপদ এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে চরাঞ্চলের ৮ হাজার পরিবার। গেল কয়েক বছর ধরেই পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি হতে থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল মাদবরেরচর, চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি ও বন্দরখোলাসহ আশপাশের এলাকা ব্যাপক আকারে ভাঙনের কবলে পড়েছে। এছাড়া সন্যাসিরচর ও শিরুয়াইল ইউনিয়নে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়েও ব্যাপকহারে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক ঘরবাড়ি কোনোমতে অন্যস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এলাকার সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এলাকার একমাত্র বাহন এখন নৌকা বা ট্রলার। ভয়াবহ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক স্কুল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বন্যা কবলিতদের পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। আট হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কাজ শুরু হয়ে গেছে।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন