ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের শক্তিশালী ধরন শনাক্ত

বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের কোন রূপটি বেশি সংক্রমিত হচ্ছে জিনবিন্যাস বিশ্লেষণ করে তা খুঁজে বের করেছেন দেশের গবেষকরা। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তা তুলে ধরে বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের জিনোমিক রিসার্চ ল্যাব।

এর মধ্য দিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের গতি-প্রকৃতি বুঝে সংক্রমণের পরবর্তী ঢেউ রোধের প্রস্তুতি যেমন নেওয়া সম্ভব, তেমনি তা এখানকার জন্য টিকা তৈরির কাজটিও সহজ করে দেবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে এ ভাইরাসের উৎপত্তি। এরপর একে একে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরে ভাইরাসটি। বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি মানুষকে আক্রান্ত করার পাশাপাশি ৬ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস।

মহামারী সৃষ্টি করা এই ভাইরাসের প্রকৃতি বুঝতে সারাবিশ্বের গবেষকরা এর জিনবিন্যাস উন্মোচনে নেমেছে, যেন নতুন করোনাভাইরাসটির রূপ বদল করে সংক্রমণ ঘটানোর বিষয়টিও নজরে আসে তাদের। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষকরাও দেড় শতাধিক নতুন করোনাভাইরাসের নমুনার জিনবিন্যাস বের করেন।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) ও গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিএসএআইডি)-তে ১৭১টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ডেটা জমা দেওয়ার পর রবিবার (১৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিসিএসআইআরের গবেষকরা।

বিসিএসআইআরের ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিকেল মেজারমেন্টস-ডিআরআইসিএম ল্যাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রক্রিয়াটি বিস্তারিত তুলে ধরেন জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবের প্রধান সেলিম খান।

তিনি জানান, করোনাভাইরাসে মোট ১ হাজার ২৭৪টি প্রোটিন থাকে। তার মধ্যে ২১২ থেকে ৫২৩ পর্যন্ত থাকে গুরুত্বপূর্ণ স্পাইক প্রোটিন। এর মাঝে আমরা কোনো মিউটেশন পাইনি। ৬১৪-জি করোনাভাইরাস যে স্ট্রেইনটি সিকোয়েন্সিংয়ে শনাক্ত হয়েছে, তা এর বাইরে পড়ছে।

এ সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান দেশে করোনাভাইরাসে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ভিত্তিতে জানান, দেশে গত ৮ মার্চ ইতালি ফেরত এক প্রবাসীর শরীরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। তাই বাংলাদেশের করোনাভাইরাসটি ইতালির ভাইরাসটির সঙ্গে বেশি নিবিড়।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন