বান্দরবানে কখনও ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, আবার কখনো ভারি বর্ষণের কারণে সকাল থেকে ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা। ১৮ জুলাই ভোর থেকে আকাশ কালো হয়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত জনসাধারণকে। খেটে খাওয়া মানুষ গুলো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। বৃষ্টিতে কাজে বের হতে না পারায় কৃষক, ভ্যান ও রিকশার চালকদের দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে সকালটা শুরু হয়েছে।বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা।
অন্যদিকে অনবরত বৃষ্টি হলে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, টানা ভারি বর্ষণ শুরু হলে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ জানান, পাহাড় ধসে প্রতিবছরই বান্দরবানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। যারা বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করেন, তাদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের পক্ষ থেকে সব সময় প্রচারণা চালানো হয়।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, মূলত বর্ষাকালে পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসের শঙ্কা বেশি থাকে এবং প্রতিবছরই বর্ষাকালে বান্দরবানে বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধস হয় এবং বিভিন্ন ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে বান্দরবানে।
মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী আরও বলেন, বর্ষার এ সময়টা আমরা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে থাকি, আমরা বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে বান্দরবান পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছি। পাহাড় ধস, বন্যা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে সেসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
আনন্দবাজার/এস.কে