একের পর এক স্বাস্থ্যখাতে থেকে বেড়িয়ে আসছে দুর্নীতি। গড়ে তুলছে সিন্ডিকেট উপর সিন্ডিকেট। যাদের মাধ্যমে চলে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহ। যার নাম করেই বার বার পুকুর চুরি করে কালো টাকার পাহাড় গড়ছে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক এন্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড। আর এসবের সঙ্গে জড়িত জাহের উদ্দিন সরকার ও তাদের পরিবারের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিদেশে বসেই একের পর এক টেন্ডার বাগিয়ে নিয়ে এরই মধ্যে পাচার করেছে কোটি কোটি টাকা।
এর আগে কালো তালিকাভূক্ত বেঙ্গল সায়েন্টিফিক এন্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি সিলগালা করলেও ফ্ল্যাটটি পরিবর্তন করে এখনো কাজ চলছে জোরেশোরেই।
জানা যায়, হংকং এ পারভেন্ট কোম্পানি লিমিটেড নামে আরো একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে জাহের উদ্দিন সরকারের। সিরাজগঞ্জ শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থ ছাড় দেয়া ১৩২ কোটি টাকার ঠিকাদারি পাওয়া বেঙ্গল সায়েন্টিফিক কোম্পানি কোন যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করেই ৩০ কোটি টাকা পাচার করেছেন হংকংয়ে।
শুধু তাই নয় রংপুর মেডিকেলের ২০১৮ সালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় বেঙ্গল সায়েন্টিফিকের জাহের উদ্দিন সরকার অংশ নেন, সাথে আরো যে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, সেগুলো মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক জাহের উদ্দিনের বাবা যথাক্রমে আব্দুস সাত্তার সরকার ও ছেলে আহসান হাবীবের নামে এবং ইউনির্ভাসেল ট্রেড কর্পোরেশনের মালিক আসাদুর রহমান যিনি জাহের উদ্দিন সরকারের ভগ্নীপতি। পরিচয় গোপন করে পরস্পর যোগসাজশে সিন্ডিকেট করে সাজানো দরপত্র দাখিল করেন তারা। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করে অপ্রয়োজনীয় ও নিম্নমানের ব্যবহার অনুপযোগী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। একইভাবে এই সিন্ডিকেট সাতক্ষীরা মেডিকেল, রংপুর মেডিকেল , চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, যারা ক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকেন, তারাই আসলে দায়ী। চিকিৎসায় দুর্নীতি নির্ভর করে শুধুমাত্র ব্যবস্থাপনার উপরই। তাই এই ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে।
আনন্দবাজার/শহক