করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জয়পুরহাটে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব না মানায় জেলায় দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে গতকাল বুধবার নতুন করে ৪৫ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জয়পুরহাটে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯৫ জনে। এছাড়া করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছে ৩৭৩ জন। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি।
শহরের বাটার মোড়, পাচুর মোড়, পূর্ব বাজার, ঔষধের দোকানসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে কারোই কোন পরোয়া নেই। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা গেছে মাস্ক না পড়ে ঘুরতে এবং মাস্ক থাকলেও তা থুঁতনিতে লাগিয়ে ঘুরছেন অনেকেই।
পূর্ববাজারের কাপড়ের দোকানগুলো দেখে করোনাভাইরাস নামে যে কোনো সংক্রামক রোগ জীবন কেড়ে নিচ্ছে তা বোঝার উপায় নেই। সরকারি নির্দেশে দোকানগুলোর সামনে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকার ব্যানার দেওয়া থাকলেও কাউকে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা।
লকডাউন না থাকায় শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দেখা গেছে আগের মতো যানজট। বাস চলছে, চলছে চার্জার অটো, ভ্যান, আটোরিকশা। সামাজিক দূরত্ব না মেনে আটোগুলোতে গা ঘেষে বসতে দেখা গেছে অনেককেই।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শরীফুল ইসলাম জানান, সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আবারো জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু জরিমানা করে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়, সাধারণ মানুষদেরও বুঝতে হবে এবং সরকারী নির্দেশনা মানতে হবে। যারা মাস্ক কেনার সামর্থ্য রাখেন না তাদের মাঝে মাস্কও বিতরণ করা হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/আর এ