ঢাকা | রবিবার
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা: পরীক্ষা ছাড়াই সুস্থতার হিসাবে বাড়ছে হার

কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের আইসোলেশনের মেয়াদ শেষে হলে এখন আর দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বাড়িতে থাকা রোগীদের উপসর্গ প্রশমনের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের সুস্থ হিসেবে ধরে নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর ১৫ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ হাজার ৪৫৭ জনে। আর আক্রান্তদের মধ্যে মোট এক লাখ ৫ হাজার ২৩ জনের সুস্থ হওয়ার হিসাব দেওয়া দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যখন পরীক্ষা করে সুস্থ ঘোষণা করা হয় অর্থাৎ ২৮ জুন পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ছিল ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এরপর থেকে সুস্থতার হার ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৩ জুলাই তা ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ, ৭ জুলাই ৪৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং ১১ জুলাই ৪৮ দশকি ৩১ শতাংশ ছিল।

পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসার পর ডা. নাসিমা অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানান, এখন তারা আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা এবং হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের হিসাব দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত ব্যক্তিকে ১৪ দিন বা ক্ষেত্রবিশেষে ২১ দিন আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে। শেষের তিন দিন যদি কোনো লক্ষণ উপসর্গ না থাকে বা কোনো ওষুধ খেতে হয় না, তাহলে তাকে সুস্থ হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে। আর সংক্রমিতদের মধ্যে কেউ মারা না গেলে তিনিও সুস্থ হয়েছেন বলে ধরা হচ্ছে। এটাই হচ্ছে অধিদপ্তরের ‘অনুমিত’ হিসাব।

এদিকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাড়িতে থাকা রোগীদের মধ্যে সুস্থ এবং মৃতদের বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মাধ্যমে তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। তবে সুস্থ ঘোষিতদের মধ্যে মোট কতজন হাসপাতালে ও কতজন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এ বিষয়ে কোনো সঙ্কলিত হিসাব নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানায়, ২৮ জুন থেকে নতুন পদ্ধতিতে সুস্থ হওয়ার এই ‘অনুমিত’ হিসাব দিচ্ছেন তারা। এর আগে আইসোলেশন শেষে পরীক্ষা করে সুস্থ ঘোষণা করা হত।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন