ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ব্রহ্মপুত্র নদ খননের কাজ। এটি সম্পূর্ণ খনন হলে একটি আন্তর্জাতিক নৌ রুট হবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা। তবে অনেক এলাকায় মাটি ফেলার জায়গা নির্ধারণ না হওয়ায় শুরুতেই দেখা দিয়েছে জটিলতা। তবে জেলা প্রশাসক জানালেন, খননকৃত মাটি ফেলার জায়গা দ্রুত ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য ফিরিয়ে আনতে খনন কাজ শুরু করেছে বিআইডিব্লিউটিএ। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে গাজীপুরের টৌক পর্যন্ত ২’শ ২৭ কিলোমিটার নদের ময়মনসিংহ অংশের ৯০ কিলোমিটার খননের কাজ চলছে। ৩শ মিটার চওড়া ও গড়ে ৩ মিটার গভীর করে নদটি খনন করা হবে। তবে খননকৃত মাটি ফেলা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, মাটি অবশ্যই নদীর উপরে ফেলব। উপরে ফেলতে না পারলে নদী কাটা যাবে না। এজন্য সকলকে সহায়তা করতে হবে।
এদিকে খননকৃত মাটি ফেলার স্থান ঠিক না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। আর খনন কাজ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান পরিবেশ সংগঠকদের।
ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক মামুন বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ বলছে মাটিগুলো সরকারি খাস জমির উপর ফেলতে হবে। তবে ড্রেজারগুলো চালু করার মতো সিচুয়েশন এখনও সৃষ্টি হয়নি।’
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন আন্দোলনের ময়মনসিংহের সভাপতি ড. মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি এই নদীর মাটি কোনো একটা স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করে দেয়া।
তবে জেলা প্রশাসক জানালেন, খননকৃত মাটি ফেলার জন্য জায়গার দ্রুত ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা একটা সমন্বয় সভা ডেকেছি। ড্রেজারের এই বালুগুলো কোথায় ফেলা যায় এবং প্রকল্পের অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সেই সভায় আলোচনা করব।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্রহ্মপুত্র খনন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এরমধ্যে প্রথম দুই বছরে খনন কাজ শেষ করে পরবর্তী তিন বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।