করোনা চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশনায় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। ‘রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে’ এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দেওয়া মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাবে বুধবার (১৫ জুলাই) এ কথা জানান তিনি।
বিশেষ সূত্র মতে জানা যায়, ডিজি তার ব্যাখ্যায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের অনুরোধে গত ১৯ মার্চ তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে একটি ‘ফাইল নোট’ দেন বলে উল্লেখ করেছেন।
বিশেষ সূত্রমতে আরও জানা যায়, সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশনা পাওয়ার পর, সমঝোতা স্মারকে সই করার আগে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আমিনুল হাসান রিজেন্ট হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি সই করা বিষয়ে মহাপরিচালক তার দাবির সাথে সম্পর্কিত সব নথি জমা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এতে জড়িত ছিলেন না বলে মহাপরিচালক তার ব্যাখ্যায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, সূত্র জানায়।
তবে, বারবার চেষ্টা করেও মন্তব্যের জন্য সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গত ২১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে সমঝোতা স্মারকটি সই করে এবং হাসপাতালটিকে একটি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবেও ঘোষণা দেয় তারা।
তবে, ছয় বছর আগেই রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জানা ছিল।
এদিকে, গত ৭ জুলাই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ভ্রাম্যমাণ আদালত রিজেন্টের উত্তরা শাখায় অভিযান চালিয়ে জাল করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি ও চিকিৎসার জন্য রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়।
তীব্র সমালোচনার মধ্যে পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১১ জুলাই জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ অধিদপ্তরকে এই চুক্তিতে সই করতে জানিয়েছিলেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ এর ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেয়।
অধিদপ্তরের জবাবে জানা যায় আসাদুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা থাকলেও, তিনি এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
আনন্দবাজার/শাহী