পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলাচল করছে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, মুখে মাক্স পরিধানও করে না অসংখ্য জনসাধারণ। স্বরুপকাঠি উপজেলার জগন্নাথকাঠি বন্দরে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার হাটের দিন উপচে পড়া ভিড়, পুরো রাস্তায় জ্যাম পড়ে যায়। এ যেন ঈদের বাজারের মত জমজমাট।
এছাড়া উপজেলার সবচেয়ে বড় বন্দর নদীর পশ্চিম পাড়ে (মিয়ারহাঠ-ইন্দুরহাট) বন্দরের দৃশ্য গুলোও একই রকম। এ ছাড়াও গ্রামের দোকান গুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত থাকে উপচে পড়া ভিড়। নেই কোন প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা মুলক ব্যবস্থা। এ কারনেই স্বরুপকাঠি দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনার তান্ডব। বিগত দিনে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন বেড়ে চলছে ঝড়ের গতিতে। স্বাস্থ্য বিধি মানানোর জন্য নেই কোন পদক্ষেপ।
এদিকে, স্বরূপকাঠিতে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনার প্রকোপ। গত ক’দিনে ধরে এ সংখ্যা বেড়েছে কল্পনাতীত ভাবে। বৃহস্পতিবার একদিনেই ১৭ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলায় চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা,পুলিশ কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৪৩ জনে। ওই উপজেলায়্য ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মেডিকেল সহযোগী আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রীর করোনা উপসর্গ অনুভব করেই ঢাকায় চলে যান। তিনদিন আগে সিএমএইচএ আব্দুল জলিল মারা যান। একই দিনে ঢাকায় মারা যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম।
আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সৌমেন দে, নার্স আঞ্জু বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া, পুলিশ কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান,ইসলামী ব্যাংক মিয়ারহাট শাখার ১২ জন কর্মকর্তা –সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারী,কৃষি ব্যাংক ডুবি শাখার একজন কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি বিভাগের একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. মো. ফিরোজ কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৪ জনের মৃত্যু হলেও তিনজনের হিসেব ৪৩ জনের মধ্যে নয়। কারণ তারা এখানে টেষ্ট করান নি। এ যাবৎ ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
আনন্দবাজার/শাহী/মির