ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম পাওয়া গেছে বাংলাদেশেও

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নতুন একটি রোগেরও সন্ধান পাওয়া গেছে বাংলাদেশে। রোগটির নাম হচ্ছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম। এপ্রিল মাসে সর্ব প্রথম ব্রিটেন এবং আমেরিকায় বেশ কিছু শিশুর মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে। এটি মূলত শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ব্রিটেনে এই রোগ শনাক্ত হবার পরে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্ত কিছু শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। গত ১৫ এবং ২৭ মে বাংলাদেশে দুটি শিশুর মধ্যে এই রোগের উপস্থিতি পাওয়া যায়। বিরল এই রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

আক্রান্ত শিশু দুটির মধ্যে একজনের বয়স ৩ মাস এবং আরেক জনের বয়স ২ বছর দুই মাস। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুজন শিশুরই যথাক্রমে ৫ ও ৭ দিন ধরে ১০২ এবং ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর ছিল। এর সাথে ছিল ডায়রিয়া, চোখ ও ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া এবং পায়ের হালকা ফোলা ভাব।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগে শিশুদের আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। যেহেতু এই রোগটি করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত, সেজন্য শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।

নতুন এই রোগের লক্ষণ সমূহঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, নিচের লক্ষণগুলো শিশুদের মধ্যে পাওয়া গেলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে –

১।  জ্বর থাকবে

২। পেটে ব্যথা

৩। ডায়রিয়া

৪। বমি

৫। ঘাড়ে ব্যথা

৬। র‍্যাশ

৭। চোখ লাল হয়ে যাওয়া

৮। বেশি ক্লান্ত অনুভব করা

কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে আরও কিছু উপসর্গ থাকতে পারে এই রোগের ক্ষেত্রে। সেগুলো হচ্ছে,

১। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা

২। বুকে চাপ ও ব্যথা অনুভব করা

৩। জেগে থাকতে কষ্ট হওয়া

৪। ঠোঁট এবং মুখ নীলাভ হয়ে যাওয়া

এই রোগ থেকে শিশুদের রক্ষার করার উপায় হচ্ছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, ঠিক একই ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম-এর ক্ষেত্রেও।

ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেখানে যে দুটি শিশুর মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম-এর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন