ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে পশুর হাটে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

দিন যতই যাচ্ছে করোনার আক্রমণ ততই ভয়াবহ হচ্ছে। এরইমধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার পশুর হাটগুলো এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। একদিকে করোনা অন্যদিকে কোরবানীকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পশুর হাট শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে মাস্ক, হেন্ডগ্লোগস ছাড়া ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। এতে যেন পশুর হাটগুলো করোনা সংক্রমনের খনি ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

তার মাঝে আবার ল্যাম্পি স্কিন নামক গবাদি পশুর নতুন একটি ভাইরাস দেশব্যাপীর মত এ জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরেও পশুর হাট গুলোর কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চলছে ক্রয়-বিক্রয়। বাজারগুলোতে নেই কোন পশু রোগ নির্ণয় করার ব্যবস্থা, নেই কোন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পশু ডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম। সম্প্রতি এমন দৃশ্য দেখা গেছে সদর উপজেলার বড় খোচাবাড়ি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহীড়িহাটসহ জেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে।

অন্যদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আড়াই হাজার গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ২০টি গরুর।

গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গরু গুলোকে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করানো হচ্ছে। নানা অযুহাত দেখিয়ে মানছেন না কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি। করোনার কারণে ক্রেতা কম হওয়ায় ও গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক কম।

এবিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন জানান, কোরবানীর ১৫ দিন আগ থেকে গরুর হাটগুলোতে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে।

তিনি আরও জানান, করোনার মতো ল্যাম্পি স্কিন রোগেরও সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। তার পরও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ও এন্টি হিসটামিন জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করতে জানানো হয়। এছাড়াও ইমিউইনিটি বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি ও ঘা শুকানোর জন্য জিংক জাতীয় খাবার প্রয়োগ করা যাবে।

উল্লেখ্য, সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা গেছে, ঠাকুরগাও জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২২৭ জন, সুস্থ্য হয়েছে ১৬০ জন, ও করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন